"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৩৯ | শেয়ার করো তোমার ইউনিক ঝাল ভর্তা রেসিপি ||| ঝাল ঝাল মূলা ভর্তা।
আসসালামু আলাইকুম।আশা রাখি সকলে সবার পরিবার নিয়ে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর ভাবে দিন অতিবাহিত করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি এবং সুন্দর ভাবে দিন অতিবাহিত করছি।
আজকে আমি "আমার বাংলা "প্রতিযোগিতা-৩৯ |শেয়ার করো তোমার ইউনিক ঝাল ভর্তা রেসিপিতে অংশগ্রহণ করার জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বলতে পারেন অনেকটাই ইউনিক একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হতে চলেছি।তবে এই রেসিপি তৈরির জন্য মূল উপাদানটি সংগ্রহ করার জন্য গতকাল থেকে আজ অবধি অনেক পরিশ্রম করেছি,বিভিন্ন বাজারে বাজারে ঘুরেছি কোথাও পাইনি কিন্তু আজকে আমি রাত ৮.৩০মিনিটে পেয়েছি।আর এরপর থেকে শুরু করেছি এই রেসিপি তৈরির কার্যক্রম।আর এখন রাত ১.২০মিনিটের সময় আমার রেসিপি সম্পূর্ণ হয়েছে।তবে এই রেসিপিটি দেখতে যতটা সুন্দর না হয়েছে, তার চাইতে খেতে এত বেশি ভালো লেগেছে যে আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য আজকে অনেক তৃপ্তিসহকারে ভাত খেয়েছে এই রেসিপি দিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার বাচ্চা দুটি এই রেসিপি পেয়ে এত খুশি এবং রুচিসহকারে খাবার খেয়েছে যেটা আমি এর আগে কখনো তাদেরকে এভাবে খেতে দেখি নাই।তবে এতক্ষণ তো অনেক বকবক করলাম আসল কথাটিই তো বলা হয় নাই যে আমার রেসিপিটি নাম কি? "আমার বাংলা ব্লগ"প্রতিযোগিতা-৩৯ |শেয়ার করো তোমার ইউনিক ঝাল ভর্তা রেসিপি প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করছি "ঝাল ঝাল মুলা ভর্তা" রেসিপি নিয়ে।জানি অনেকেই এই রেসিপি নিয়ে তর্কবিতর্কে মেতে উঠবেন,তবে একটি কথাই বলবো এই রেসিপিটির স্বাদ অনেকটাই বাদাম ভর্তার মত।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "ঝাল ঝাল মুলা ভর্তা" রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছি তার পুরো প্রসেস নিয়ে আলোচনা করা যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। মূলা।
২। রসুন।
৩। পেঁয়াজ।
৪। কাঁচা মরিচ।
৫। শুকনা মরিচ।
৬। লবণ।
৭। সরিষা তৈল।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে মুলার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে একটি বাটিতে নিয়েছি।
এবার খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া মুলাগুলোকে চিকন চিকন করে কেটে নিয়েছি।
এবার কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেওয়া মুলাগুলোকে পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি কিছুক্ষণ ।
পানি থেকে উঠিয়ে নিয়ে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নেওয়ার পর আবারো পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এবার মূলা গুলোর পানি ঝরিয়ে নিয়ে কড়াইয়ে বেশি পরিমাণ সরিষার তৈলের ভিতরে মুলোগুলো অনেক সুন্দর করে ভেঁজে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে কুঁচিকুঁচি করে কেটে সরিষার তৈল দিয়ে পেঁয়াজ গুলোকে ভাল করে ভেঁজে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে সরিষার তৈল দিয়ে রসুনগুলো ভেঁজে নিয়েছি।
শুকনা মরিচ সামান্য পরিমাণ সরিষার তৈল দিয়ে ভেঁজে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচ কড়াইয়ে ভেঁজে নিয়েছি।
এবার সকল উপকরণ একত্রে করে নিয়েছি ।
শিলপাটায় ভেঁজে নেওয়া মূলাগুলোকে ভর্তা করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
মূলা ভর্তা করে নেওয়ার পরে অন্যান্য উপকরণ তার সঙ্গে ভালো করে পিষে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার সুস্বাদু "ঝাল ঝাল মুলা ভর্তা" রেসিপি।এবার এই "ঝাল ঝাল মুলা ভর্তা" রেসিপি পোস্টের একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেন।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ-রেসিপি পোস্ট "ঝাল ঝাল মুলা ভর্তা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আসলে আপু আপনার রেসিপিটা দেখে ভিন্ন ধর্মি মনে হচ্ছে অনেক ইউনিক ছিল। আর বাংলা ব্লগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সহিত তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।শুভকামনা রইল আশা করি আপনি প্রাইজ পেয়ে যাবেন আপু।
প্রাইস পাওয়াটা বড় কথা নয় বড় কথা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটা এই বিশ্বাস এবং আশা নিয়েই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি।
ঝাল ঝাল মুলা ভর্তা করার দারুন একটা রেসিপি আসবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এভাবে মুলা ভর্তা করে আমি কোন সময় খাইনি ।আজকে এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ভাই মূলা ভার্তা কখনো খাননি ঠিক আছে কিন্তু আমিও জীবনে প্রথম এইবার খেয়েছি।ঝাল ঝাল মুলা ভর্তাটা একদমই বাদাম ভর্তা খেতে যে টেস্ট পাওয়া যায় মূলা ভর্তার টেস্টটাও ঠিক একই রকম।
হি হি হি। আমাদের হাফিজ ভাইয়ের মূলা বেশ প্রিয় খাবার। যাক আমি কিন্তু জীবনে কোনদিনও মূলা ভর্তা করতে কাউকেই দেখি নাই। এতো ভর্তা খেলাম কিন্তু মূলা ভর্তা কখনও খাওয়া হয় নাই। আপনার ইউনিক এই রেসিপি দেখে তো ভাবছি বাসায় একবার করলে মন্দ হয় না। শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।
ঠিক বলেছেন আপু হাফিজ ভাইয়ের মুলা প্রিয়। তবে অনেক কষ্টে মুলা পেয়েছি আর সেই মুলা দিয়েই রেসিপিটি করেছি।
আমি তো ভাবছি আপনি এই সময়টাতে মুলা কোথায় পেয়েছেন? তবে যাই হোক এটা বুঝতে পারছি, অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে এই মুলা পেয়েছেন আপনি। আপনার তৈরি ঝাল ঝাল মুলা ভর্তা রেসিপি দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গিয়েছে। তবে আপনি কিন্তু বর্ষার সময় খুঁজে খুঁজে মুলা কিনে ঝাল ভর্তা তৈরি করে সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন। অনেক পরিশ্রম করেছিলেন বুঝাই যাচ্ছে।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন মুলা কেনার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে দুইদিন পরে মূলা পেয়েছি।
আপনি বেশ মজার এবং লোভনীয় একটি মুলার ঝাল ঝাল ভর্তা তৈরি করলেন। মুলা দিয়ে ভর্তা তৈরি একদম ইউনিক হয়েছে দেখতে। মুলা কিন্তু বাজারে চলে এসেছে সিজনের আগে বাজারে দেখলাম। তবে মুলার ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুন হবে। বেশ ইউনিক এবং ঝাল ঝাল একটি মুলা ভর্তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি খুব লোভনীয় একটি ভর্তা রেসিপি করেছেন। তবে মুলার ভর্তা আমি কখনো এভাবে বানিয়ে খাইনি। তবে প্রতিযোগিতা আসলে দুই ধরনের লাভ হয়। সুন্দর কিছু বানানো যায় এবং খুব মজা করে খাওয়া যায়। ভর্তাটি ফ্যামিলি তিনজন মিলে খুব মজা করে খেয়েছেন। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজায় হয়েছে। অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুলার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন।
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সবাই দেখছি বেশ ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছে। তার মধ্যে আপনিও দেখছি ইউনিক একটা রেসিপি নিয়ে আমাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। এক একটা রেসিপি অনেক বেশি লোভনীয় ছিল, যা দেখে আমি তো লোভ সামলাতে পারছি না। তবে আপনি আপনার এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এবং কি পরিবেশন টাও অনেক সুন্দর করে করেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ওয়াও আপনি খুব সুন্দর করে মুলা ভর্তার রেসিপি করেছেন। তবে এই ধরনের ভর্তা গুলো একটু ঝাল ঝাল করে করলে খেতে অনেক মজাই লাগে। আর প্রতিযোগিতায় আসলে অনেক সুবিধা হয়। কারণ ওই সময়ে খাবারগুলো খুব মজা করে খেতেও পারা যায়। যাই হোক ভর্তার রেসিপি ফ্যামিলি তিনজন মিলে খুব মজা করে খেয়েছেন। অনেক সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দরভাবে গুছিয়ে মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।