আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৩৯।।কাঁঠালের বীচির ঝাল ভর্তা রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি প্রতিযোগিতা-৩৯ শেয়ার করো তোমার ইউনিক ঝাল ভর্তা রেসিপি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। একটি প্রচলিত কথা আছে-আমরা ভাতে মাছে বাঙালি।যদিও আমরা ভাতে মাছে বাঙালি তবে এর সাথে আরেকটি খাবারও বাঙালিদের প্রসিদ্ধ।তা হলো ঝাল ভর্তা।ভর্তা পছন্দ করেন না বা খাওয়া হয়নি এমন বাঙালি খুবই কম পাওয়া যাবে।যাইহোক এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমি একটি কমন ভর্তার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।যা গরম ও পান্তা উভয় ভাতের সাহায্যে খাওয়া যায়।রেসিপিটি হচ্ছে কাঁঠালের বীচির ঝাল ভর্তা ।আমার বিশ্বাস এই মৌসুমে যারা কাঁঠাল খেয়েছেন।তাঁরা নিশ্চয়ই এই ভর্তার রেসিপিটি খেয়ে থাকবেন।আর যদি না খেয়ে থাকেন।তবে খেয়ে দেখবেন খুবই সুস্বাদু ও মজাদার এটি।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কাঁঠালের বীচি | পরিমাণ মতো |
২ | পেঁয়াজ | ১ টি |
৩ | শুকনো মরিচ | পরিমাণ মতো |
৪ | ধনিয়া পাতা | সামান্য পরিমাণ |
৫ | লবন | স্বাদমতো |
৬ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে চুলাতে একটি সসপ্যান বসিয়ে এতে পানি দিয়ে নিবো এবং কাঁঠালের বীচিগুলো দিয়ে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর বীচিগুলো ভালো করে সিদ্ধ হলে জ্বাল নিভিয়ে পানি ফেলে দিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর বীচিগুলো থেকে ছিলকা ছাড়িয়ে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
এরপর একটি পেঁয়াজ কুঁচি করে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর ধনিয়া পাতা কুঁচি করে কেটে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে সামান্য পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে শুকনো মরিচগুলো ভেজে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর একটি প্লেটে ভাজা মরিচগুলো নামিয়ে নিয়ে এতে লবন দিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর কুঁচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও ধনিয়া পাতা দিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর সবগুলো ভালো করে মাখিয়ে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর একটি ছেঁচুনি নিবো এবং সিদ্ধ করে রাখা কাঁঠালের বীচিগুলো ছেঁচুনির ভিতরে দিয়ে নিবো।
একাদশ ধাপ
এরপর কাঁঠালের বীচিগুলো ভালো করে ছেঁচে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর কাঁঠালের বীচিগুলো যখন মিহিমিহি হয়ে যাবে তখন একটি প্লেটে নামিয়ে নিবো এবং শুকনো মরিচ ভাজার সাথে পেঁয়াজ ও ধনিয়া পাতার কুঁচির মিশ্রনটি দিয়ে নিবো।
শেষ ধাপ
এরপর হাতের সাহায্য সবগুলো উপকরণ পুনরায় ভালো করে মিশিয়ে নিবো। আর এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার কাঁঠালের বীচির ঝাল ভর্তা রেসিপিটি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে কাঁঠালের বীচির ঝাল ভর্তা রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা কাঁঠালের বীচির ঝাল ভর্তা রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
বর্তমাণে যেহেতু কাঁঠালের সিজন কিন্তু কাঁঠালের বিচি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে। তার মধ্যে কাঁঠালের বিচি দিয়ে এমন মজার ঝাল ভর্তা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে খেতে অসাধারণ হয়। আপনি বেশ মজার করে কাঁঠালের বিচির ঝাল ভর্তা তৈরি করে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করলেন অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
কাঁঠালের বিচির ঝাল ভর্তা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। মজার মজার ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে এরকম ঝাল ভর্তা খেতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন, যা দেখে আমার ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। উপস্থাপনার মাধ্যমে সম্পূর্ণ রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি দেখে ভালো লেগেছে।
আপনার এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য আমাকে আরো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে উৎসাহিত করবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।