আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজকের লাইভ অনুষ্ঠানের কিছু গল্প
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
[চিত্রঋণ -কৌশিক চক্রবর্ত্তী]


আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
মোটামুটি যারা নিয়মিত আমার ব্লগ পড়েন তারা বেশ ভালোই জানেন আমি ওতপ্রোতভাবে একটি পত্রিকার সাথে জড়িত যার নাম কবিতার আলো। পত্রিকাটি আমি ও আপনাদের সবার প্রিয় কৌশিকদা সহ বাকি আরও বেশ কিছুজন মিলে চালাই৷ না, আমাদের বিশেষ কোন ফান্ডিং নেই আর লিটিল ম্যাগাজিন চালিয়ে সেই ভাবে কোন ইনকামও হয় না। তবু বাংলা এমন একটা ভাষা, যেই ভাষায় প্রচুর মানুষ কবিতা গল্প উপন্যাস সহ আরও অনেক সাহিত্য সৃষ্টি করেন। বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে আমাদের এই পদক্ষেপ৷ জীবনে অনেক টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হয় নিজেরাই জানি না। কিছু যদি বাংলা ভাষার জন্য করি রাতে অসুবিধে কি? সব কি আর আত্মকেন্দ্রিক লাভ ক্ষতি দিয়ে বিচার হয়?
যাইহোক কবিতার আলো আমাদের কাছে সন্তানের মতো। তাই তাকে জনপ্রিয় করে তুলতে নানান আয়োজন। বছরে তিনটে প্রিন্টেড সংখ্যা বার করি। আর প্রতিমাসে একটি করে ব্লগজিন। অর্থাৎ অনলাইন সংখ্যা। এখানে গল্প কবিতা চিঠি ইত্যাদি সাহিত্যের নানান বিভাগে মানুষজন লেখেন। বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে আমাদের এই আয়োজনে যারা রয়েছেন তঁদের কাছে কবিতার আলোকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য আমরা নানান অনুষ্ঠান করে থাকি। প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে করা হয়। কিন্তু সব সময় তা হয় না। কারণ সবার সময় হওয়া দরকার সাথে খরচেরও ব্যপার থাকে৷ তাছাড়া আমরা প্রতিটি সম্পাদকই দূরে দূরে থাকি।
ভাষা নিয়ে কারবার যেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অথচ কিছু হবে না তা কি হয়? তাই ফেসবুকেই একটি লাইভ অনুষ্ঠান করলাম। আমরা ছ'জন সম্পাদক উপস্থিত ছিলাম। প্রত্যেকেই বাংলা ভাষা এবং তার ব্যপ্তি ও বর্তমান অবস্থা সহ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে কথা বললাম। তবে সবার বিষয় আলাদা আলাদা ছিল। এছাড়াও আমরা নিজেদের কিছু লেখাও পাঠ করলাম।
গতকাল যেই গদ্যটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম সেইটেই পাঠ করেছি। আর আঞ্চলিক ভাষা নিয়েও সামান্য বক্তব্য রেখেছিলাম। আসলে বাংলা আমার কাছে মাতৃসম। মাকে নিয়ে যতই বলি না কেন কমই বলা হয়। তাও বলি। আবেগ আহ্লাদ কি ধরে রাখা যায়?
কেউ কেউ কবিতা পড়েছেন। কৌশিকদা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১-শে ফেব্রুয়ারি গানটা গেয়েছেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি রম্য রচনা পড়েছিলেন আরেক সম্পাদক। বাকিরা সকলেই নিজের লেখা৷
মোটামুটি দেড় ঘন্টা ধরে চলল এই অনুষ্ঠান৷ কবিতার আলো আজ আমাদের হাত ধরে। মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বুঝলাম ভিউয়ারস দেখে এবং তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেখে৷ অনেক মানুষ বেশ উপভোগ করছিলেন এটুকু বোঝা যাচ্ছিল। পত্রিকাটিকে নিয়ে আমাদের দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে। দেখা যাক কি করতে পারি৷ আপনারা প্রার্থনা করুন যেন বাংলা ভাষার মুখ হয়ে উঠতে পারি।
পথ দীর্ঘ পথ কঠিনও। তবুও চলব এমন পরিকল্পনাই রয়েছে।

পোস্টের ধরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1893357565607551133?t=1ofN7TEH0JD8cE22JWUZPA&s=19