কয়েকটি এলোমেলো ছবি দিয়ে সাজালাম।আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
বুধবার দিন মানেই আমাদের চটজলদি বিকেলের মধ্যে পোস্ট করে ফেলার সময়। আমি জানি না কেন আমার প্রতিদিনই পোস্ট করতে অনেক রাত হয়ে যায় বিশেষ কোনো তাড়া না থাকলে। সকালের দিকে পোস্ট করে ফেললেন বাকি কাজ করার সময় অনেকটাই হাতে থাকে এবং রাত্রেও জাগতে হয় না। তাই মাঝে মাঝেই ঠিক করি যে এই দুপুর বেলাটাতে বসে বসে পোস্ট করে নেব। কিন্তু রোজ আর সে কাজ হয় না।
আজকে আপনাদের সাথে যে সমস্ত ছবিগুলো শেয়ার করব সেগুলো সবই মোবাইলে তোলা এবং কোন না কোন সময়ে। ফটোগ্রাফি পোস্ট এখানে নিয়মিত সপ্তাহে একবার করে করি তাই মাঝেমধ্যেই যখন বেরোই তখন ভালো কিছু দেখলে বা কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখে পড়লে একটা ছবি তুলে রাখি ফলে যখন ফটোগ্রাফি পোস্ট করব তখন যেন ছবির অভাব না হয়। এই সমস্ত বুদ্ধি আপনাদের থেকেই শিখেছি কারণ আমি যে সবসময় ছবি তুলতে পছন্দ করি তা কিন্তু নয়। যখন খুব ভালো জায়গায় যাই তখন মাঝেমধ্যেই ছবি তুলি কারণ আমার সব সময় মনে হয় কিছু দৃশ্য নিজের চোখের মধ্যেই আটকে রাখা ভালো। যাইহোক চলুন আজ আপনাদের সাথে ছবিগুলো শেয়ার করি।
ফটোগ্রাফি -১
এবার বইমেলায় যখন বাড়ি গিয়েছিলাম তখন দাদাদের সাথে আমাদের গ্রামের ভেতর দিকে রাস্তা দিয়ে অনেকটা দূর একটি গ্রামে একটি নতুন কালী মন্দির দেখতে গিয়েছিলাম। সেই মন্দিরের পাশেই এই জলাশয় টি রয়েছে যেখানে তিনটে হাঁস জোরে বেড়াচ্ছিল। আমরা যখন পৌঁছাই তখন হাঁসগুলো এদিক ওদিকি ঘুরছিল কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখলাম জল নেমে গেল। আমি আর ছবি তুলতে দেরি করলাম না। জলে হাঁস চরে বেড়াচ্ছে এ তো এক কাব্যিক অনুভূতি এবং দৃশ্যও বটে।
ফটোগ্রাফি -২
মাসখানেক আগে একদিন বাজারহাট করতে গিয়েছিলাম। মূলত মশলাপাতি বাজার করেছিলাম। সে এক সুপার মার্কেট থেকে। সেই সুপার মার্কেটের পাশেই একটা ছোট্ট কাফেটেরিয়া মত রয়েছে যেখানে মোমো বা অন্যান্য টুকিটাকি খাবার পাওয়া যায়। সেখানেই সিজলিং ব্রাউনি খেয়েছিলাম। আর চলে আসার সময় যখন ফিরে তাকালাম দেখলাম রাতের অন্ধকারে আলো জ্বলছে আর কি অপূর্ব লাগছে দৃশ্যটা। তাই একটা ছবি চট করে তুলে রেখেছিলাম। কেমন লাগছে আপনারাই বলুন!
ফটোগ্রাফি -৩
এই ছবিটা অনেকদিন আগেকার তখন আমি গোয়াতে থাকতাম। গোয়াতে এই ধরনের কাঁকড়া অনেক পাওয়া যায়। সমুদ্রের নীল কাকরা স্বাদ কিন্তু একেবারেই আলাদা। তো আমি দুটো কাঁকড়া এনেছিলাম তার একটা সুন্দর করে সাজিয়ে ছবি তুলেছি শুধু এটাই দেখার জন্য যে সাইজ টা কত বড়। এই কাঁকড়া গুলো কিন্তু খেতে সেই স্বাদ।
ফটোগ্রাফি -৪
এটা দেশের বাড়ির ছবি। আমার দেশের বাড়িতে একটা মাটির রান্নাঘর রয়েছে সেখানে আমি গেলেই উনুনের রান্না করি। তো সেখানেই একটা থামে দেখেছিলাম সন্ধ্যেবেলার দিক করে এই ফড়িংটি দিব্য বসে রয়েছে। রংটা মাটি রঙের উপর এত সুন্দর ফুটেছিল দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল আর সে কারণেই একটা ছবিও তুলে নিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি -৫
এই ফুলটার নাম জানিনা তবে বসন্তকালের শেষের দিকে গাছ ভর্তি করে হয়ে থাকে। মহারাষ্ট্রের রাস্তাঘাটে এই গাছ প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়। এক সময় ভাবতাম যে এটাই বোধহয় জারুল ভুল কিন্তু আসলেই তা নয়। ফুলটার নাম না জানলে গাছে এমন নীলচে বেগুনি রঙের ফুল দেখতে যে এত ভালো লাগে তা আপনারাও ফটো দেখে বুঝতে পারছেন।
ফটোগ্রাফি -৬
এটাও এক ধরনের পাহাড়ি বনফুল। এই ফুল আমি সাধারণত পশ্চিমঘাটের পাহাড়ের উপর দেখেছি। অন্য কোন অঞ্চলে এই ফুল দেখতে পাইনি। তবে ফুলের নামটাও আমি জানিনা বনফুল বলেই আমার কাছে পরিচিত। শীতকাল জুড়ে এই ফুল হয়ে থাকে তবে শীত ফুরোলে অনেক বেশি পরিমাণে দেখা যায়। খুব সুন্দর না রংটা বলুন?
ফটোগ্রাফি -৭
এইবার গোয়া থেকে আসার পথে এই ছবিটা তুলেছিলাম। আকাশের রংটা দেখুন কী দারুন নীল। এই রাস্তায় ড্রাইভ করার সময় এরকম এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় যার ফলে লং ড্রাইভের কোন ক্লান্তি যেন চোখে লেগে থাকে না। এই ছবিটা চলন্ত গাড়ি থেকেই তুলেছিলাম। কেমন হয়েছে বলুন তো?
তো বন্ধুরা আমার আজকের ফটোগ্রাফি এই পর্যন্তই। আবার আসবো আগামীকাল অন্য কোন পোস্ট নেই ততক্ষণ আপনারা ভালো থাকুন।
টাটা

পোস্টের ধরণ | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ ৫৪ |
লোকেশন | মহারাষ্ট্র, ভারতবর্ষ |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1907373645879456003?t=rdRnIGfqCs8XfGocLI3V7w&s=19
https://x.com/neelamsama92551/status/1907374919861559688?t=nvm7AubGhQQ3iSKGh7GVMA&s=19
https://x.com/neelamsama92551/status/1907376060351586726?t=_xYpKJ--qaifA7wds7IBkw&s=19
বেশ সুন্দর এবং দৃষ্টিনন্দন কিছু ছবি শেয়ার করেছেন এখানে। পানিতে ভাসমান তিনটি হাসের ছবিটা এবং রোড-আকাশের সম্মিলিত ছবিটি- এই দুইটা সবচেয়ে বেশী ভাল লেগেছে আমার কাছে।
আরও সুন্দর সুন্দর ছবি শেয়ার করতে থাকুন আমাদের সাথে।
ভাল থাকুন!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। চেষ্টা করব আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার। ভালো থাকবেন ভাই।
পাহাড়ি বনফুল দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। খুব সুন্দর ভাবে আপনি এলোমেলোভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছেন। আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
বনফুলটা একেবারেই অন্যরকম দেখতে এরকম ফুল আমাদের ওইদিকে মানে পশ্চিমবঙ্গে আমি দেখিনি। আপনার যে ভালো লেগেছে তা জেনে খুব আনন্দ হল। আন্তরিক ধন্যবাদ নেবেন আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা দিলাম। ভালো থাকবেন আপু।
আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা কে যে বেশি পছন্দ করব সেটা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে আমার কাছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি তার নিজস্ব জায়গায় অতুলনীয়। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনি নিজেই একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তাই আপনার থেকে এই ধরনের মন্তব্য অনেকটাই উৎসাহ দেয়। ভালো থাকবেন।
কি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দিদি! প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। চলন্ত গাড়ি থেকেও সুন্দর করেছেন ফটোগ্রাফিটি। আর ফড়িং এর ফটোগ্রাফিও বেশ সুন্দর হয়েছে।
এত্তো ভালোবাসা আপু। আসলে প্রকৃতি নিজেই এতো সুন্দর যে ছবি তোলার জন্য আমায় খুব একটা কায়দা করতে হয়না। ধন্যবাদ জানবেন।