বইমেলা - বইমেলা। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা পর্ব১
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
বিগত ২৯ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা বইমেলা। আপনারা প্রত্যেকেই জানেন, বইমেলায় আমাদের নিজেদের টেবিল রয়েছে৷ পত্রিকার নাম কবিতার আলো। আর টেবিল নম্বর ১৪৬।
বইমেলা হলে প্রকাশক এবং লেখক লেখিকা সমেত পত্রিকা সম্পাদকদের একটাই চাপ থাকে তাহলে বইমেলা উপলক্ষে তাদের নতুন সংখ্যাটি বা বইটি কবে হাতে পাবে। বাঙালির সারা বছরের অলসতার কারণে ঠিকভাবে কাজ করে না। তাই বইমেলার আগের এক মাস থেকে বইমেলা শেষ পর্যন্ত ছাপাখানা গুলোতে প্রায় সারারাত ধরেই কাজ চলে। এতে কাজ কতটা ভাল হয় জানিনা তবে কোনমতে সম্পন্ন হয়।
প্রতিবছর আমাদের পত্রিকা বইমেলার প্রথম দিন থেকে টেবিলে থাকলেও এবছর পত্রিকা পাওয়া নিয়ে বিরাট চাপ ছিল। প্রকাশক ভদ্রলোক অত্যন্ত লেজে গোবরে করে মেলা শুরুর প্রায় পাঁচ দিন পর আমাদের নতুন পত্রিকা দিয়েছিল। তাই নিয়ে আমরা প্রত্যেকেই যেমন চাপ খেয়েছি তেমনি অশান্তিও করেছি। আসলে নতুন পত্রিকার টেবিলের নাইলে বিক্রির বাজার সেই ভাবে খোলে না।
আমাদের যেহেতু পত্রিকার টেবিল তাই টেবিলে পত্রিকাটাই মেইন আকর্ষণ। তবে আমাদের সমস্ত সম্পাদকদের প্রকাশিত বইগুলিও আমাদের টেবিলে রয়েছে। আপনাদের তো আগেই একটা পোস্ট দেখেছিলাম যে আমি বেশ কিছু মাটির ভাঁড় রং করে লিখেছিলাম কলকাতা পুস্তক মেলা। প্রথম দিন থেকে টেবিলে ওই ভাঁড়গুলি দেখে লোকজনের কেনার বিরাট আগ্রহ। তাই দুইদিন পর যখন বাড়ি গেলাম তখন বিরাট ব্যস্ততার মাঝে সময় দিয়ে প্রায় ১৪ টা ভাঁড় বানিয়ে এনেছিলাম। রোজই টুকটাক বিক্রি হয়েছে আর আজ ফেরার সময় দেখলাম গোটা পাঁচ ছয় বাকি রয়েছে। এখনো মেলা তো অনেক দেরি শেষ হতে তাই আশা করছি আরও কিছু বিক্রি হয়ে যাবে।
অনেক ব্লগার ইউটিউবার সকলে এসে এসে আমার টেবিলের ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্লগের মেটিরিয়াল হিসেবে। ওদের কাছে ওই হাঁড়ির ডিজাইন অভিনব লেগেছিল, এছাড়াও আমাদের টেবিলে থাকা নানান ধরনের বড় বড় বুকমার্ক। এই বুকমার্কগুলিও অত্যন্ত স্বতন্ত্র কারণ প্রত্যেকটি বুকমার্কে আমাদেরই সম্পাদকদের নানান কবিতার লাইন দেওয়া রয়েছে যা বুকমার্কের সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার আসি নিজের বইয়ের গল্পে। বিগত কয়েকদিনে আমার বইয়ের প্রথম লট শেষ। ফেসবুকে নানান কবি বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব বাদ দিয়ে খানিকটা বিনিময় প্রথায় বই কেনার স্রোতে আমি যেহেতু কোনদিনই নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারিনি তাই পরিচিত মহল থেকে আমি যে খুব একটা বিশেষ পাঠক পেয়েছিলাম তা কিন্তু নয়। আর যে কয়েকজন আমার বই কিনেছেন তারা বেশিরভাগই পাতা উল্টে পড়ে কিনেছেন। এবারের বইমেলায় এটাই আমার কাছে সব থেকে বড় প্রাপ্তি।
বইমেলায় আরো অনেক গল্প তৈরি হয়েছে যা আপনাদের সাথে পরে শেয়ার করব।

পোস্টের ধরণ | জেনারেল রাইটিং আছে৷ |
---|---|
ছবি ওয়ালা | নীলম সামন্ত |
ডিভাইস | আইফোন ১৪ |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNq11oNEiVHeYi1dFPZdD9DtfDnLSeGtLw3tXF7pNDf1KxPvxfffo2xboPm7wR8jPkKYie3LXrW.png]()
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1886866552659587463?t=lcKFpurXSr7kgycHz_DNkA&s=19
আপনি সঠিক বলেছেন আপু বাঙালি যতক্ষণ চাপে পড়বেনা ততক্ষণ পর্যন্ত কাজের প্রতি গতিশীল হবে না। এরকম বইমেলাগুলির পূর্ববর্তী সময়ে প্রত্যেকটা প্রেসেই অনেক ব্যস্তময় সময় কাটায় প্রেস ওয়ালা গুলো।সবথেকে বড় সত্য কথা হলো এটাই যে আপনজনদের কাছ থেকে, কোনো কাজ করতে গেলে কখনোই সাপোর্ট পাবেন না ঠিকভাবে। যা সাপোর্ট করবে তা হলো আপনার অপরিচিত বহিরাগত লোকরাই। কিন্তু আপনার লেখা বইটির নামই তো বললেন না আপু!
আমার এবারের বইয়ের নাম জোনাক সভ্যতা। তা নিয়ে আমি পরে একদিন ব্লগ লিখব।
আপনি খুব সত্য ঘটনা গুলো বলেছেন। এভাবেই যে আপনরা কখন পর হয়ে যায় নিজেই জানতে পারি না।
বাহ,বইমেলা সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনে ভালো লাগছে।তার থেকে বেশি ভালো লাগছে দিদি তোমার মাটির ভাঁড়গুলি বিক্রি হয়েছে জেনে।আর বইগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে আশা করি, ধন্যবাদ তোমাকে।
বইও অনেক বিক্রি হয়েছে আশা করি আরো বিক্রি করতে পারব।
বাহ,ভালো।
বইমেলার কথা বেশ কয়েকদিন ধরেই আপনার মুখে শুনছিলাম এবং সেখানে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাটির ভাঁড় গুলো আসলেই সবাইকে বেশ আকর্ষণ করেছে। আর চমৎকার বুকমার্ক গুলো সবাই বেশ পছন্দ করছে এটা শুনে ভালো লাগলো। আপনার বইগুলো সবাই পছন্দ করছে এটা জেনেও ভালো লাগলো। আপনি সত্যিই চমৎকার লেখেন। আপনার বই পড়তে পারলে ভালো লাগতো।
খুবই চাপে যাচ্ছে আপু। কোনদিক থেকেই সময় কুলিয়ে উঠতে পারছি না৷ তাও চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্ট করার। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বই মেলায় আপনার নতুন বই বের হয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই জেনেছি এবারের বই মেলায় আপনার বই বের হবে। প্রথম লটের সকল বই পাঠকেরা আগ্রহ নিয়েই কিনেছে জেনে আরও বেশি ভালো লাগলো।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু। দোয়া করেন বইটির চাহিদা যেন বাড়ে।
আপনাদের টেবিল সাজানোর আইডিয়াটি আসলেই বেশ ভালো লেগেছিল। ছুটিতে বাড়ি গিয়ে আবারও ১৪ টি ভাঁড় রঙ করে এনেছেন ডিমান্ড এর কথা চিন্তা করে- বেশ লাগলো জেনে। আর অর্গানিক পাঠক পাওয়া আসলেই বেশ গর্বের বিষয়। আপনার জন্য শুভকামনা তো রইলোই। বাকি গল্পগুলোও জানার আগ্রহ প্রকাশ করে গেলাম।
আনন্দের সঙ্গেই এসব করি। বইমেলা মানেই পুজো পুজো গন্ধ। কবিদের কাছে তো বটেই। তাই নানান কাজের মধ্যে নিজের মতো কাজ করি। ধন্যবাদ নেবেন ।