।।নিজকণ্ঠে গান গেয়ে কিংবদন্তী গায়ক কিশোর কুমারের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।।
নিজকণ্ঠে গাওয়া একটি স্বর্ণযুগের বাংলা গান
আজ আপনাদের জন্য রইল একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট। কয়েকটি হ্যাংআউটে গান গাওয়ার সুবাদে আপনারা হয়তো জেনে গেছেন যে আমি গান ভীষণ পছন্দ করি। গানই জীবন, এবং গান গেয়েই পথ হাঁটি, এমনকি ব্যস্ত কর্মজীবনেও গান আমার ঠোঁট থেকে কখনো সরেনি। আজ আপনাদের জন্য আমার প্রিয় একটি গান রেকর্ড করলাম। সাথে ক্যারাওকে মিউজিক দিয়ে গানটি সাজালাম মনের মতো করে। কখনো পোশাকি ভাবে গান শিখিনি এ জীবনে। এক সময় তালিম নিয়েছিলাম যন্ত্রাণুসঙ্গে। খোল, তবলা, পাকোয়াজ বাদনে কিছুদূরে এগিয়েছিলাম সেই সময়ে। আর ছেলেবেলা থেকেই ছিল গানের প্রতি এক তীব্র ঝোঁক। ভারতীয় সংগীতের সোনালী সময়ের সমস্ত গান তখন ঠোঁটে ঠোঁটে ফিরত আমার জীবনে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র সমেত বিভিন্ন কিংবদন্তি শিল্পীদের গান শুনতে শুনতে বেড়ে উঠেছি একটু একটু করে। আর এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভারতীয় সংগীতের গুরু কিশোর কুমার। তাঁর গান আলাদা করে আঁচড় কেটেছিল মনে। এক সময় লতা মঙ্গেশকর এবং কিশোর কুমার জুটি সারা ভারতকে দুলিয়েছিল তাঁদের সংগীত মূর্ছনায়। আজ আর তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে নেই। কিন্তু রয়ে গেছে তাঁদের অমর সুরগুলো।
আজ এইসব অমর গানের ভেতর থেকেই কিশোর কুমারের গাওয়া 'সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা' গানটি আপনাদের জন্য গাইবার চেষ্টা করলাম।
গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং কিশোর কুমারের সুর করা এই গান বাঙালীর প্রেম জীবনে যেন এক আস্ত অধ্যায়। তাই সুরসম্রাট শ্রী কিশোর কুমারকে স্মরণ করে আজ আপনাদের মধ্যে রেকর্ড করে দিলাম আমার কন্ঠে গাওয়া সেই গান।
গানটির সম্পূর্ণ এফেক্ট শুনে উপভোগ করার জন্য হেডফোনের ব্যবহার করুন।
(আজকের গানের পোস্টটি আমি আমার কাছের মানুষকে উৎসর্গ করলাম)
(৫% বেনিফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার সহ সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার কণ্ঠে প্রিয় গানটি শোনতে পেরে অনেক ভালো লাগে। আসলে গান হলো মনের খোরাক। আমরা মন ভালো থাকলে বা খারাপ থাকলেও গান শুনি।আপনার কণ্ঠে গানটি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷ আমার গান আপনাকে আনন্দ দিয়েছে শুনে খুব ভালো লাগলো৷ ঠিক বলেছেন৷ গান মনের খোরাক৷
কিশোর কুমার এর গান গুলো আগে শোনা হতো। এখন কাজের ব্যস্ততার কারণে তেমন শোনা হয়না। আপনার গান গুলো সব সময়ই ভালো লাগে। চমৎকার একটি গান কভার করে আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। আপনার কন্ঠে গানটি শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কিশোর কুমারের সত্যিই কোনো বিকল্প হয় না৷ তিনি কালজয়ী। আমার প্রচেষ্টা আপনার ভালো লাগায় আমি আপ্লুত ভাই৷
তোমার গান নিয়ে আমি আর নতুন করে কি বলবো। সে কবে থেকেই শুনে আসি গান। এই গানটা খুব ভালো হয়েছে বারবার শোনার মত। চালিয়ে যাও বন্ধু, পথ অনেক লম্বা।
নিজের মতো করে গাইবার চেষ্টা করলাম। তোর ভালো লাগলো বলে খুব আপ্লুত। ভালো থাকিস।