লেভেল ওয়ান হতে আমার অর্জন by @nipadas
আমার বাংলা ব্লগ' এর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই এত বড় প্ল্যাটফর্মে আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। বিগত ক্লাসে স্টিমেট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আমার অনেক ধারণা হয়েছে। অনেক নতুন তথ্য আমি জানতে পেরেছি। আশা করি আরো ভালোভাবে শিখে নিতে পারব, এবং আপনাদের আশীর্বাদে ভালোভাবে কাজ করতে পারব। বিগত ক্লাসে প্রফেসর আমাকে যেসব শিক্ষা দান করেছেন তার ওপর আজ আমি লেভেল ওয়ান এর পরীক্ষা দিতে চলেছি।
প্রশ্ন: কোন ধরনের এক্টিভিটিজ স্প্যামিং বলে গণ্য হয়?
উত্তর: তথ্যহীন অবাঞ্ছিত বা অপ্রাসঙ্গিক কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করলে তাকে স্প্যামিং বলে। আবার একটি ঘটনাকে বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বা সামান্য পরিবর্তন করে পুনরায় পোস্ট করা হলে সেটাও স্প্যামিং হয়। পোস্ট এ কোন ট্যাগ ব্যবহার করলে সেই ট্যাগ এর সাথে পোস্টের বিষয়বস্তুর যদি কোনো মিল না থাকে তাহলে সেই পোস্ট টিও স্প্যামিং এর আওতায় পরে। যেমন ঘুরতে যাওয়ার পোস্ট লিখে যদি কেউ রেসিপি ট্যাগ দেয় সেটা স্প্যামিং হয়। অর্থাৎ পোস্ট এর সঙ্গে ট্যাগের মিল থাকা আবশ্যক। এছাড়াও কোন পোস্ট কাউকে বারবার করে মেনশন করে বিরক্ত করলে সেটাও এক ধরনের স্প্যামিং হয়।
প্রশ্ন: ফটো কপিরাইট সম্পর্কে আপনি কি ধারনা অর্জন করেছেন?
উত্তর: অন্যের পরিশ্রমে বা অন্যের আবিষ্কার করা কোন ফটো যদি কেউ অর্থ উপার্জনের কাজে ব্যবহার করেন, বা নিজের বলে দাবি করেন তাকেই ফটো কপিরাইট বলে গণ্য করা হয়। সারা বিশ্বে এই কপিরাইট আইনটি চালু রয়েছে। কোন ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তার আবিষ্কার করা কোন ফটো বা কোন তথ্য যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে কপিরাইটের আওতায় পড়ে যাবে। অন্যের কপিরাইট যুক্ত ফটো ব্যবহার করে কোন রকম পোস্ট করা যাবে না। স্টিমিট একটি আমেরিকান সোশ্যাল সাইড, আর আমেরিকায় কপিরাইটের খুব কড়াকড়ি নিয়ম। তাই যখন কোন বিষয় নিয়ে লেখার পর তার ছবি প্রয়োজন হবে সেই ছবি আমরা যে কোন ওয়েবসাইট দিয়ে ডাউনলোড করে নিলে সেটা কপিরাইট হয়ে যাবে। সেই জন্য আমাদের কপিরাইট ছাড়া ফটো যে সব ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় সেখান থেকেই নিয়ে পোস্ট করতে হবে। নন কপিরাইট ওয়েবসাইট গুলির ফটোতে কোন মালিক থাকে না তাই আমরা সেইসব ফটো ব্যবহার করতে পারি। তবে ওই সকল ফটো ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম আছে সেটা দেখে নিতে হবে।
প্রশ্ন: তিনটি ওয়েবসাইটের নাম বলুন, যেখান থেকে কপিরাইট ফ্রি ফটো সংগ্রহ করা যায়।
উত্তর: তিনটি ওয়েবসাইট যেখানে কপিরাইট ফ্রি ফটো পাওয়া যায়।
https://pixabay.com
https://www.freeimages.com
https://stocksnap.io
প্রশ্ন: পোস্ট করার সময় ট্যাগ কেন ব্যবহার করতে হয় এবং কিসের ভিত্তিতে ট্যাগ নির্বাচন করতে হয়?
উত্তর: আমরা যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ব্যবহার করে থাকি তারা নিশ্চয়ই দেখেছে। প্রতিটা ভিডিওতে ট্যাগ থাকে। তেমনি এই প্লাটফর্মে ট্যাগ দেওয়া হয়ে থাকে। এতে কোন পোস্ট খুঁজতে বা দেখতে সুবিধা হয়। ট্যাগ আসলে যে বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে সেই বিষয়ের কিছু কিওয়ার্ড। যে বিষয় পোস্ট আপনি দেখতে চান সে বিষয়ের ট্যাগে ক্লিক করলেই সে বিষয় সম্পর্কে যত ব্যক্তি পোস্ট করেছে সব দেখতে পাওয়া যাবে। যেমন ধরুন আমি একটি ভ্রমণের পোস্ট দিলাম। সেই পোস্টে travel বা tour ট্যাগ দিলাম। এই ট্যাগ এর ওপর ক্লিক করতেই আরো যেসব ব্যক্তি এই ট্রাভেল নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, তাদের পোস্ট ও দেখা যাবে। এছাড়াও পোস্টে ট্যাগ দিলে সেই ট্যাগ ট্রেন্ডিং হিসেবে থাকে। এই ট্যাগ অবশ্যই ইংলিশে দিতে হবে। এবং সর্বোচ্চ আটটি ট্যাগ একটি পোস্টে দেওয়া যায়। অন্যান্য ওয়েবসাইটের মত এই প্লাটফর্মে (#) হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র শব্দটি লিখলে ট্যাগ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কি কি বিষয়ের উপর পোস্ট লেখা নিষিদ্ধ?
উত্তর: আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে
যেকোনো ধর্ম নিয়ে বা রাজনৈতিক দল নিয়ে পোস্ট করা নিষিদ্ধ।
নগ্ন ছবি পোস্ট বা অশ্লীল সেক্সুয়াল পোস্ট করা নিষিদ্ধ।
কোন ব্যক্তিকে মনে আঘাত করে, বা কারোর সম্মান নষ্ট করে পোস্ট করা নিষিদ্ধ।
কোন পোস্টে কাউকে গালাগাল করা বা খারাপ কথা বলে আক্রমণ করা যাবে না।
এছাড়া কোনো প্রাণী হত্যা অথবা কোনো প্রাণীর উপর অত্যাচার নিয়ে পোস্ট করা নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন: প্লাগারিজম সম্পর্কে আপনি কি জানেন?
উত্তর: অন্য কারোর কোন লেখাকে সম্পূর্ণ হুবহু লিখে বা সামান্য কিছু পরিবর্তন করে যদি নিজের নামে চালিয়ে দিই বা নিজের বলে দাবি করি তাকে বলে প্লাগারিজম। অন্য কোন জায়গা বা কোন প্ল্যাটফর্মে পাবলিশ হওয়া কোন লেখা নকল করে নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া প্লাগারিজম এর আওতায় পড়ে। এটি খুবই খারাপ একটি কাজ। এবং এতে নিচু মানসিকতার প্রকাশ পাওয়া যায়। তবে কারো লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলে বা খুব প্রভাবিত হলে সেটা নিজের ভাষায় লিখে পোস্ট করা যেতে পারে। তবে সে ব্যাপারে কিছু নিয়মাবলী আছে। আর এই লেখাটি হতে হবে ৭০% নিজের ভাষায় আর ৩০% সেখান থেকে নেওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন: re-write আর্টিকেল কাকে বলে?
উত্তর: কোন ব্যক্তির লেখা কোন আর্টিকেল, গ্রন্থ, উপন্যাস বা অন্য কোন লেখা পড়ে ভালো লাগলে, সেটা আবার সুন্দর করে নিজের ভাষায় লিখে ভুল ত্রুটি সংশোধন করে পুনরায় পোস্ট করাকে re-write আর্টিকেল বলে। এক কথায় বিষয়বস্তুর গুণগতমান বজায় রেখে, নিজের ভাষায় সুন্দর করে লেখাকেই re-write আর্টিকেল বলে।
প্রশ্ন: ব্লগ লেখার সময় re-write আর্টিকেলে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
উত্তর: কোন ব্যক্তির লেখা re-write করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ৭০% যেন নিজের ভাষায় লেখা হয়। এবং বাকি ৩০% সেই লেখা থেকে নকল করা যেতে পারে। কোন লেখা re-write করতে হলে সেই লেখাটি যেখান থেকে পাওয়া গেছে সেটা উল্লেখ করতে হবে। এবং লেখাটিতে কোন ফটো ব্যবহার করতে হলে সেটা অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি ফটো হতে হবে।
প্রশ্ন: একটি পোস্ট কখন মাইক্রো পোস্ট হিসেবে গণ্য হয়?
উত্তর: একটি পোস্ট এ যখন একটি মাত্র ফটো ব্যবহার করা হয় এবং ১০০ টি শব্দের কম শব্দ ব্যবহার করা হয় তখন তাকে মাইক্রো পোস্ট বলে।
প্রশ্ন: প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার সর্বোচ্চ কতটি পোস্ট করতে পারবে? (আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে)
উত্তর: আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার সর্বোচ্চ তিনটি পোস্ট করতে পারবে। এবং পোস্টে করা প্রতিটা কমেন্টের তিন দিনের মধ্যে উত্তর দিতে হবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
আপনি দেখছি লেভেল ওয়ান এর পরীক্ষা দিয়েছেন। লেভেল ওয়ান প্রত্যেকটি ব্লগার এর জন্য অত্যন্ত ইম্পর্টেন্ট। কারণ প্রথম লেভেলেই আমরা শিখে যাই আমাদের কি কি ব্লক করা উচিত আর কি ধরনের লেখা লেখা উচিত নয়। এখানে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করতে হলে লেভেল ওয়ান এর লেকচার শিট সবসময়ই প্রয়োজনীয়। এবং আপনি বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন সেটাও দেখলাম। আমাদের মডারেটর দাদাদের জন্য সবকিছুই প্রতিটি ব্লগারের কাছে সহজ হয়ে উঠেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল তাড়াতাড়ি বাকি লেভেল গুলো পাস করে ভেরিফাইড হয়ে যান।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।