কেমন কাটল ঈদ-উল-ফিতর-2022, 📚 || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊 & 5% @ abb-school
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজ কদিন যাবৎ ভাবছি কি পোস্ট করা যায়। অবশেষে ভাবলাম আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ঈদ –উল- ফিতর/2022 এর আনন্দের কিছু অংশ ভাগাভাlগি করব।
আমি ঢাকা শহরে বড় হলেও আমার শশুর বাড়ী ঢাকার নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জের রুপসী এলাকায়। না এটা কোন প্রত্যন্ত গ্রাম নয়। এটা একটা শহরের মত। আমার বাসা হতে রওনা দিলে 30/45 মিনিট সময় লাগে শশুর বাড়ী যেতে।
তাহলে শুরু করি সেই আনন্দঘন দিনের কাহিনীি-
এটা হলো আমার শশুরবাড়ীর নিজেস্ব মসজিদ যেখানে রুপসী পশ্চিম পাড়ার সবাই নামায আদায় করেন। শুনেছি এই মসজিদটি গ্রামের সকলের সম্মিলিত প্র্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে মসজিদ টিকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে কত সুন্দর করেই না সাজানো হয়েছে মসজিদ টিকে। আর ঈদের দিন সবাই এই মসজিদেই ঈদের জামাত আদায় করেন।
আগেই বলে নি আমি আমার শশুর বাড়ীর সবচেয়ে ছোট বউ। তাই ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে গেলে বা অন্য কোন সময়ে বাড়ীতে গেলে আমাকে কেউ কোন কাজ করতে দেয় না। তখন থাকে আমার ছুটি আর ছুটি। ঐ যে কি একটি ছড়া/কবিতা আছে না – আজ আমাদের ছুটিও ভাই আজ আমাদের ছুটি।
ঈদের দিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে ঈদের গোসল করে শুরু করলাম ঈদ। তবে আমার শশুর বাড়ীতে ঈদের সকাল শুরু হয় খিচুরী দিয়ে অর্থাৎ গালা খিচুরীর আর মাংস । অনেক স্বাদের খাবার এটি।
আমার দেবর, ভাসুর আর ননাসের ছেলে মেয়ে সব মিলিয়ে 15/20 জন হবে প্রায়। তাই ঈদে বাড়ীতে যাওয়ার আগে তাদের ঈদ সালামীও সাথে নিয়ে যেতে হয়। ঈদের গোসল করতে দেরী তাদের সালাম করতে আর দেরী হয় না । শুরু হয়ে যায় সালাম করা আর সালামী নেওয়া। আর আমিও তখন তাদের মতই হয়ে যাই। বাড়ীর ছোট বউ বলে কথা। তাই যা সালামী দেই তার বেশীই মনে হয় ঈদ সালামী আমি পাই।
এই যে, দেখছেন এখানে ছবিতে ছোট থেকে বড় যারা আছে তাদের প্রত্যেকেই আমার সা’লামী দিতে হয়। এছাড়াও আরও অনেকে আছে যাদের ছবি এখানে নেই।
যাই হোক তারপর শুরু হলো ঈদ ফটোসশসন । যার কিছু ছবি এখানে পোস্ট করা হলো।
এবার আসা যাক আর একজনের কথায়। আমাদের রুপালী। রুপালী আমাাদের খুব মজার মজার রান্না করে খাওয়ায়। রান্নায় করায় তার জুড়ি নেই। কি রাধতে পারে না সে? পোলাও থেকে শুরু করে মেহমানদারী করার জন্য যা রান্না করা লাগে তারসব কিছুই সে পারে। কিন্তু না ঈদের দিনে তাকে কোন কাজ করতে হয় না। ঈদের দিন রুপা’লীর ছুটি। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই গোসল করে সাজুগুজো করে ফিটফাট। সবাই কে সালাম করে সালামী নিয়ে শুরু করে আমার পিছে পিছে ঘুরা। কারন আমি ছাড়া বাড়িতে কেউ রুপালীকে ছবি তুলে দেয় না। তাই রুপালী আমার কাছে দৌড়ে আসে ছবি তোলার জন্য আমিও ওর সখ মিটাতে আমার অপো মোবাইলে রুপালীর ছবি তুলি। যতবার রুপালীর ছবি আমি তুলেছি প্রতি বারই সে আমাকে বলে আমার ছবি ঠিক মত সেভ করে রাখবেন। আমি চছাইলে যেন দেখতে পারি। নাইলে আপনেরে আর চা খাওয়ামু না।
দেখতে না দেখতে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে আসে। শুরু হয় দুপুরের খাবার পর্ব। বছরের সব দিন আর যাই হোক না কেন ঈদের দিন টা হয় ভিন্ন। ঈদের দিন আমার শাশুড়ীর নির্দেেশে সবাই একত্রে খাওয়া দাওয়া করতে হয়। তাইতো দুপুরের আয়োজন হয় বড়।
খাবার দাবার পর্বের কিছু ছবি -
কি আনন্দে খাচ্ছে বাড়ীর সকল পুরুষ লোক ও বাচ্চা ছেলেরা।
খাবার শেষে যখন একটু বিশ্রাম নিতে গেলাম, তখনই শুরু হলো বৃষ্টি। আর লোভ ধরে রাখতে পারলাম না। চলে গেলাম বাড়ীর ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে। আর মনে মনে গাইতে লাগলাম ’’আজই ঝরো ঝরো বাদলও দিনে’’। কি অপরুপ প্রকৃতির রুপ।
বিকেলে আমাদের সেনাপতি শিরিন ভাবী, তার নেতৃত্বে ঘুরতে বের হলাম সব জা রা একসঙ্গে। কিন্তু ঘুরা ফিরা করা আর হলো কিছুদূর যেতেই সবাই বায়না ধরল সবাইল মিলে ফুচকা খাবে। তাই আড্ডাটা ফুচকার দোকানেই শেষ হয়ে গেল।
ফুচকা খেয়ে ফিরে গেলাম বাড়ীতে। বাড়ীতে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা পার হয়ে গেল। আরা সন্ধ্রার পর বাড়ীতে বসে সবার সাথে আড্ডাবাজী সময় শেষ হয়ে গেল । আর আমার ঈদ আনন্দটাও এখানে শেষ হয়ে গেল।
কেমন লাগলো আমার ঈদ এর আনন্দ?
সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
@maksudakawsar
Discord ID-@maksudakawsar#5058
আপনি এই পোস্টে এবিবি স্কুলে বেনিফিশিয়ারি দিতে ভুলে গিয়েছেন । এরপর থেকে এই ধরনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে নজর রাখবেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
ধন্যবাদ ভাইয়া। পরবর্তী পোস্ট হতে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে নজর রাখবো ইনশাল্লাহ।
আপু খুবই ভালো লাগলো আপনার কাটানো ঈদুল ফিতরের দিনের গল্প শুনে। অনেকদিন পর ঈদুল ফিতরের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ আপনার ঈদুল ফিতরের কাটানো দিন টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে। এত ভাল করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
ঈদুল ফিতর আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। দেখে তো খুব মজার রান্না করতে পারেন শুধু আমাদেরকে অতিথি আপ্যায়ন করতে হবে। আমি কিন্তু আপনারা দাওয়াতের অপেক্ষায় থাকলাম। শেষে ফুচকা খাওয়া টা ছিল বেস্ট।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার পোস্ট দেখে ঈদের দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ঈদের সময়টা সত্যিই খুব আনন্দের। তাছাড়া আপনাদের পরিবারের সকলকে একসাথে দেখে বেশ ভালো লাগলো। এখন তো এরকম একসাথে কাউকে দেখাই যায়না। বিশেষ করে সবাই একসাথে খেতে বসেছে মুহূর্তটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ভালো কেটেছে আপনার ঈদ। আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। এত ভাল করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
ঈদ মানে হাসি, ঈদ মানে খুশি। যা পুরোটাই আপনার লিখার মাঝে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।এত সুন্দরভাবে ঈদুল ফিতরের আনন্দময় মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। এত ভাল করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
এখন প্রত্যেকটা মসজিদেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে গেছে। এটা হাদিস শুনেছিলাম, মসজিদ সুসজ্জিত হবে, মুসল্লী থাকবে না। যাইহোক অসাধারণ ছিল আপনার ঈদুল ফিতরের অনুভূতি এবং গল্প। তবে আমার বাড়িতেও সবাই ঈদ হোক কিংবা অনুষ্ঠান হোক একসাথে খাওয়ার রীতি আছে। ঈদের সালামি দেওয়া এবং নেওয়া দুটোই খুব আনন্দের একটা বিষয়। আমি রুপশিতে অনেকদিন কাটিয়েছিলাম রুপশি আমার এখনো নিকটবর্তী এলাকা। আমাদের সাথে আপনার ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। এত ভাল করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
চমৎকারভাবে ঈদের অনুভূতি গুলো এবং পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে খাবার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। যদিও এই সৌভাগ্য সবার জীবনে হয় না। অনেক সুন্দর উপস্থাপনা ও সেই সাথে মন ছুঁয়ে যাওয়া অনুভূতি। ভেরিফাইড মেম্বার না হওয়া পর্যন্ত এবিপি স্কুলকে 5 পার্সেন্ট দিতে হবে। আশা করি, পরবর্তীতে অবশ্যই আপনি দিতে পারবেন। শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। এত ভাল করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।