আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৭৭
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
রোজা / উপোস নিয়ে ছোটবেলার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
আমাদের যেহেতু অধিকাংশ পূজা-পার্বনে চাইলে কেউ উপোস রেখে পূজার অঞ্জলি দিতে পারে।আবার কেউ চাইলে বাড়িতে ব্রত রেখেও উপোস থাকতে পারে।যতক্ষণ পূজার অঞ্জলি দেওয়া কিংবা পূজা করা শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পঞ্চ শস্যের কিছু খাওয়া যাবে না।কিন্তু ফল-মূল,জল ও সাবুদানা ইত্যাদি খাওয়া যায়।আমি অবশ্য যখনই উপোস করি নির্জলা-ই করে থাকি অর্থাৎ কোনো কিছুই না খেয়ে।তো ছোটবেলায় একবার স্বরস্বতী পূজার সময় অঞ্জলি দেব,যত আগে অঞ্জলি দেওয়া যাবে তত আগেই প্রসাদ কিংবা ভাত খাওয়া যাবে।কিন্তু পূজার পুরোহিত মশাই আসবে দুপুরের দিকে, কি করা যায়!স্কুলের পূজাগুলি আগে হয় তাই আমরা ভোরে স্নান সেরে নিলাম।কিন্তু সেই বছর কি যেন মনে হলো,স্কুলের পাশের বাড়ি পূজা শেষ হয়েছে।আমরা সেই পূজার নিমন্ত্রণও পেয়েছি।আমার বাড়ির পাশেই স্কুল তাই আমি ভাবলাম প্রসাদ নিয়ে বাড়ি রেখে তারপর আবার আসবো।কারন অঞ্জলি দেওয়া তো বাকি,আমরা প্রসাদ নিলাম।অনেকেই পাশের বাড়ির পূজাতে অঞ্জলি দেওয়া কমপ্লিট করেছে, তারা তো প্রসাদ খাওয়া শুরু করে দিয়েছে।কিন্তু আমিও মনের ভুলে একটি ফল প্রসাদ মুখে দিয়ে ফেলেছি।কি আর করা আমার উপোস ভেঙে গিয়েছে, তবুও কেউ কেউ বললো ---অনেকেই তো খেয়ে অঞ্জলি দেয়,তুইও দে কিছুই হবে না।
একবার ছোটবেলায় প্রথম রোজা রেখেছিলাম, দুপুরে আম্মু খাবার দিতে এলে বললাম, "আমি তো রোজা।আম্মু হেসে বললেন,তা তো আমি জানি, কিন্তু খাওয়ার পর আবার রাখতে পারবে।
আমি ভাবলাম,যাক রোজার মাঝেও ব্রেক টাইম আছে তাহলে।হাহাহাহ।।
একবার রমজান মাসে ছোট্ট আমিটি রোজা রাখছিলাম। আমি সারাদিন কিছুই খায়নি, কিন্তু রাতে আমি স্বপ্নে দেখলাম যে ইফতারের সময় অনেক মজার মজার খাবার খাচ্ছি। সকালে উঠে আমি আমার মাকে বললাম, "মা, আমি রোজা ভেঙে ফেলেছি!" মা অবাক হয়ে বললেন, "কেন? তুমি তো কিছু খাওনি!" আমি বললাম, "না মা, আমি স্বপ্নে খেয়েছি, তাই মনে হচ্ছে রোজা ভেঙে গেছে আমার!"
ছোটবেলায় প্রথম রোজা রাখতে গিয়ে দুপুরের দিকেই ক্ষুধায় কাহিল হয়ে গেলাম। আম্মুকে গিয়ে বললাম,
— "আম্মু, খুব খিদে লাগছে!"
আম্মু বললেন, "ধৈর্য ধরো, ইফতার হতে তো আর বেশি দেরি নেই!"
আমি ঘড়ি দেখে বললাম,
— "কতটুকু সময় বাকি?"
আম্মু বললেন, "আর মাত্র পাঁচ ঘণ্টা!"
আমি একটু চিন্তা করে উত্তর দিলাম,
— "তাহলে এমন করি, আজকে শুধু অর্ধবেলা রোজা রাখি, বাকিটা কাল রাখব!" 😆
ছোটবেলায় রোজা নিয়ে আমি আর আমার ভাই চেষ্টা করতাম কে বেশি রোজা থাকতে পারবে। তবে দুপুরে ভাত ছাড়া কিছু খেলে রোজা ভাঙ্গে না মা বাবা বলতো। এরপরে ভাত ছাড়া অন্য কিছু খেতাম। আর মজার ব্যাপার হলো আমার বড় ভাই দশটি রোজা ছিল আর আমি একটি মাত্র রোজা ছিলাম হাহা হা ছোটকালে।
ছোট সময়ে বন্ধুদের সাথে কে বেশি রোজা রাখতে পারে এমন বাজি ধরে রোজা রাখতাম। একদিন রোজা রেখে যোহরের নামাজ পড়ার জন্য ওযু করার সময় হঠাৎ পানি খেয়েফেলেছি। কিন্তু বন্ধুদের থেকে একটি রোজা কমে যাবে সেই কারনে রোজা ভেঙে যাওয়ার পরেও সারাদিন কিছু খায়নি,হা হা হা।😁😅
রোজায় নানার বাড়িতে গোসল করতে গিয়ে আমি ভুলে পানি খেয়ে ফেললাম। ভয় পেয়ে নানাকে জিজ্ঞেস করলাম নানা এখন কী হবে?নানাও রসিক ছিল তাই তিনি হেসে বলেন কিছু হবে না,ইফতারের পানি তো আগেই খেয়ে ফেলেছো আর বাকি শুধু আছে ভাজা বেগুনি আর খেজুর এগুলো খেলেই ইফতার হয়ে যাবে।😄😄
ছোট্ট আরিফ প্রথমবার রোজা রেখেছে। সারাদিন সে কাউকে বিরক্ত করেনি, দৌড়াদৌড়ি করেনি, এমনকি একবারও পানি চাইতে আসেনি!
মা অবাক হয়ে ভাবলেন, "বাহ! এত শান্ত? নিশ্চয়ই খুব মনোযোগ দিয়ে রোজা রাখছে!"
বিকেলে মা গিয়ে দেখলেন, আরিফ বিছানায় শুয়ে আছে, মুখ শুকনো, চোখ আধবোজা। মা উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলেন—
"বাবা, কেমন লাগছে?"
আরিফ চোখের পাতা ফেলল না, ধীরে ধীরে উত্তর দিল—
"আমি এখন একদম রোবটের মতো হয়ে গেছি...! কম শক্তি খরচ করলেই রোজা সহজ হয়ে যাবে!"
মা হেসে বললেন, "এই জন্যই দুপুর থেকে এত ঠান্ডা হয়ে আছিস!"
আরিফ গভীর গলায় বলল—
"রোবটরা বেশি নড়াচড়া করে না, কারণ তাদের ব্যাটারি থাকে না... আমারও আজ ব্যাটারি চার্জ দেওয়া নিষেধ!"
মা তার কথা শুনে হাতে লাগলো।😄