"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড # ৬০৭ [ তারিখ : ২৫ - ০৩ - ২০২৫ ]

Todys_Featured_Articles_2.png

Banner Credit @alsarzilsiam


বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @neelamsamanta


অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম- আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।


এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

Screenshot_20250325_224223_Chrome.jpg


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :


Screenshot_20250325_224024_Chrome.jpg

১০ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে হঠাৎ গোয়া যাবার গল্প by @neelamsamanta ( date 24.03.2025 )

আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই হয়তো জানেন না ২০২৩ সালে আমি গোয়াতে ছিলাম। খুব বেশিদিনের জন্য নয়, বছরখানেক ছিলাম। সেই সময় আমার মেয়ে গোয়ার আলমিডা স্কুলে পড়াশুনো করত। মোটামুটি সব দিক থেকেই আমরা এখনও গোয়ার সাথে বেশ জুড়ে আছি। আসলে আমার তো বার বারই মনে হয় ভারতবর্ষে গোয়া এবং কেরালার মতো সব দিক থেকে ভালো রাজ্য আর দুটি নেই। হয়তো আছে কিন্তু আমার জানা এবং অভিজ্ঞতার মধ্যে। যাইহোক আলমিডাতে পড়াকালীন আমার মেয়ে মানে অরিপ্রা বেশ কিছু ট্যালেন্ট টেস্টে রাজ্যে ভালো ফলাফল করেছিল। কিন্তু সাথে সাথে তো আর পুরষ্কার বিতরণ হয় না৷ তাই সেই সবই ওর ক্লাস টিচারের কাছে জমা ছিল। এছাড়াও ওই একবছরে আমার মেয়ে ওই শিক্ষিকার বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছিল। উনি ওনার মেয়ের মতনই দেখতেন। তাই পুনেতে চলে আসার সময় ওনার বেশ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে আমি বলেছিলাম আমি নিয়ে যাবো মেয়েকে ওনার সাথে দেখা করাতে। --


অথরের লেখা যখন পড়ছিলাম, তখন বেশ ভালোলাগা কাজ করছিল নিজের মাঝে। কেননা অথর চেষ্টা করেছে তার বিগত সময়ের পরিচিত মানুষগুলোর সঙ্গে বাস্তবে সাক্ষাৎ করার জন্য। এমনটা খুব একটা বর্তমানে হয় না, কেননা অতীত নিয়ে ভাবার মানুষের এখন সময় কই।

মেয়ের শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য, এতদূর গাড়ি চালিয়ে যাওয়া এবং সেখানে গিয়ে দারুণ সময় কাটানো এবং মেয়ের পুরস্কার গুলো গ্রহণ করা, পুরো ব্যাপারটাই পড়লাম। মনে হচ্ছিল যেন গল্পের মাঝে খানিকটা সময়ের জন্য ঢুকে গিয়েছিলাম ।

শিক্ষক এবং ছাত্রের যে আত্মিক সম্পর্ক দেখলাম, তাই আসলে মূল ভালোলাগার কেন্দ্রবিন্দু। সবকিছু যখন ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে, তখন যেন এরকম সম্পর্ক গুলো নতুন করে প্রাণের সঞ্চরণ করে ।

এমন সম্পর্ক গুলো হাজারো বছর টিকে থাকুক, ছাত্র -শিক্ষকের প্রতি ভালবাসা এভাবেই বহিঃপ্রকাশ ঘটুক। অথর ও তার মেয়ের জন্য শুভকামনা রইল।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7ymPyaTBaXXzc74Gx7yH9GSnVBQmgr6fV6QfpnPoHe3ju8s1ACzmGdX4caKtjQ4zUEzo5AydcGepzvtARWSDcRHueuZeDU.jpeg

ছবিটি নীলম দিদির ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  
 15 days ago 

অনেকদিন পর আমার পোস্ট ফিচার হল সত্যিই খুব আনন্দিত হলাম। আসলে এও সত্য, বেশ কিছুদিন খুব ব্যস্ততায় কেটেছে। ফলে স্থির হয়ে ব্লগ লিখতে পারছিলাম না।

পোস্ট সম্পর্কিত আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগল ভাই। আমি আসলে মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলার চেষ্টা করি। আর এই শিক্ষিকাও আমায় অনেক সাহায্য করেছেন মেয়ের পড়াশুনোর ক্ষেত্রে। বিদেশ বিভূঁইয়ে এমন একজন মানুষ মাত্র কয়েকমাসে তার স্কুলে পড়া অনেক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে একজনকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে খাইয়েছে, পরিয়েছে। নিয়মিত খোঁজ নেন। আমার মা হিসেবে এইটুকু কর্তব্য ওদের সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখার।

তবে অনেকদিন পর ছাত্রী ও শিক্ষকের দেখা হওয়াতে দুজনেই বড় খুশি ছিল। ওদের হাসিমুখই তো আমার প্রাপ্তি। আর কি! এইটুকুই তো জীবন।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.24
JST 0.030
BTC 82228.92
ETH 1642.03
USDT 1.00
SBD 0.71