Incredible India monthly contest of March #1| What's the definition of a balanced lifestyle?
![]() |
---|
আজকে কমিউনিটিতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে উপস্থিত হয়েছি Post Link
নিয়মানুসারে এই প্রতিযোগিতায় @mou.sumi, @pinki.chak এবং @papiya.halder অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করবো, কারণ এদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার শতকরা নিম্নমুখী! পাশাপশি এদের ব্যাক্তিগত অভিমত জানতে চাইবো লেখা পড়ে প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে।
According to you, what's the definition of a balanced lifestyle? |
---|
আজকের বিষয়বস্তু আমি ইংরেজিতে বেশি ভালোভাবে ব্যক্ত করতে পারতাম! তাহলে অনেকেই ভাবতে পারেন, তাহলে বাংলা ভাষা বেছে নিলাম কেনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে?
এর পিছনের মুল কারন এই কমিউনিটিতে কর্মরত বেশকিছু সদস্য যাদের মাতৃভাষা বাংলা এবং প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু তাদের কর্মকাণ্ডের নিরিখে নির্বাচন!
তাই, বিশেষত তাদের বোঝার সুবিধার্থে বাংলা ভাষাকে লেখার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি।
![]() |
---|
ভারসাম্যের শিক্ষা বোধহয় খেলার ছলে শৈশব থেকেই আমরা শিখেছি, তবে মনে রেখে কাজে প্রয়োগ মুষ্টিমেয় মানুষ করতে পেরেছি! |
---|
একলা জীবন যাপন করতে গিয়ে, জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই নিজেকে করতে করতে উপরিউক্ত বিষয়ের সংজ্ঞা আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যক্ত করতে হলে বলবো:-
ব্যাক্তিগত তথা কর্মজীবনের ভারসাম্য রক্ষার সংজ্ঞা হলো, সময়ের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সকল কাজকে লিপিবদ্ধ করে দৈনন্দিন দিন যাপন, সেটা ব্যাক্তি তথা কর্ম উভয় জীবনের ক্ষেত্রে।
যেখানে, থাকবে কাজের দায়িত্বের পাশাপশি নিজের জন্য সময়, থাকবে সন্তানদের এবং পরিবারের জন্য সময়।
অলসতা কাটিয়ে উঠতে পারলেই, এই ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব।
ধরুন যে কাজটি আপনার তৎক্ষণাৎ করার প্রয়োজন, সেটা সেই মুহূর্তে না করে অলসতার কারণে পরে করবেন বলে ফেলে রেখেছেন!
যখন, সেটা করতে যাবেন ভাবছেন, আপনার সামনে এমন একটা কঠিন পরিস্থিতি এসে হাজির হলো যে, আপনি দিশেহারা বোধ করবেন কোনদিক সামলাবেন।
প্রায়শই, আমি শৃঙ্খলার কথা বলি, এবং ভারসাম্য জীবন যাপন করতে হলে;
সময় তথা শৃঙ্খলা মেনে কাজ করতে হবে, অলসতা পরিত্যাগ করে।
দৈনন্দিন জীবনের ভারসাম্যের সংজ্ঞা হলো, গতানুগতিক নিজের কাজের বাইরেও কারোর যদি আপনাকে পাশে প্রয়োজন হয়, আপনি যেনো অন্যের প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারেন!
যেদিন, নিজের বাইরে অন্যের জন্য অথবা সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবেন, সেদিন বুঝবেন আপনি জীবনযাত্রার ভারসাম্যের সংজ্ঞা শিখে গিয়েছেন।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সেটাই মনে করি, এখন অন্যের কাছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সংজ্ঞা ভিন্ন হতেই পারে।
How do you balance your daily day? Explain! |
---|
![]() |
---|
ফ্ল্যাটের মিটিং - ব্যাক্তিগত কাজে সামিল! |
---|
প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে ভিন্নতা থাকে, তবে একটি জায়গায় আমরা সকলে এক্;
আর সেই বিষয়টি হলো, আমাদের সকলের জন্য প্রকৃতি একই সময়ে নির্ধারণ করেছে একটি দিনের জন্য, অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা।
এবার, হঠাৎ কোনো বিপদকে তো দৈনন্দিন কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি না, তাই যে দিনলিপি আমি প্রতিদিন মেনে চলি, সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
অর্থ উপার্জনের পাশাপশি, বাজার তথা রান্না একলা হাতেই সম্পন্ন করে থাকি ঘরের বাকি কাজের পাশাপাশি! |
---|
প্রথমত: আমি আগের দিন ঠিক করে রাখি, পরের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোন কাজ কিভাবে এবং কখন করবো।
এরমধ্যে রয়েছে ব্যাক্তিগত ঘরের কাজ যেগুলো আমি একলা হাতেই করে থাকি!
পাশাপশি, বিকেলে যদি বাজার যাওয়ার থাকে, তাহলে ঘরের সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখে নি, পরের দিন কোন কোন জিনিষ কেনার আছে।
যদি দেখি জিনিসের পরিমাণ বেশি আগের দিন লিখে নি, আর যদি দেখি কাজের জায়গায় লেখার চাপ বেশি তাহলে অনলাইন থেকে কেনা কাটার কাজ সেরে সেই সময় কাজের ক্ষেত্রে ব্যয় করে থাকি।
যখন অফিসে বিভিন্ন শিফটে কাজ করেছি, তখনও আমি প্ল্যান করে পরের দিনের কাজ নিজের সুবিধানুসারে গুছিয়েই করতাম।
রাত আড়াইটায় উঠে অফিসে যেতে হলেও, আবার রাত বারোটায় ফেরার হলেও আমি সবটাই একলা হাতে সম্পন্ন করতে পেরেছি কারণ, আমি লিখে কাজ করতে পছন্দ করি বরাবর।
ফলস্বরূপ ক্লান্ত শরীরে প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনতে ভুলে যেতে হতো না, আর এখন তো ঘরে বসে কাজ করি।
যারা ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেন না, তারা দিনের অনেক সময় এমন কাজে ব্যয় করেন যেটাকে অযথা সময় অপচয় বলে আখ্যা দেওয়া যেতে পারে।
আমি বই পড়তে ভালবাসি, তাই আগে অফিস থেকে ফিরে সব কাজ মিটিয়ে রাতে বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়তাম।
কাজ ফেলে রেখে গল্প করা, কাজ ফেলে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় অপচয় আমি এখনো করি না।
তাই হয়তো একলা হাতে সমস্ত কাজ এখনও সঠিকভাবে করে যেতে পারছি।
সময় যেহেতু অতিবাহিত হয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যাবে না, তাই যারা এটিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তারাই জীবনে সফলতার মুখ দেখতে সক্ষম হন। এটা আমার বিশ্বাস।
Do you think to balance lifestyle; Do we require equal participation of our family members? How? |
---|
![]() |
---|
জীবনের শিক্ষা এবং কিছু আদর্শ আমাদের ভিড় থেকে পৃথক করে! |
---|
আমার লেখা যারা কম বেশি পড়ে থাকেন, তারা জানবেন এর আগেও অনেক লেখায় আমি উল্লেখ করেছি, আমি এমন একটি পরিবেশে বড় হয়েছি, যেখানে আমার বাবা এবং জ্যাঠা মশাইকে রান্না করার পাশাপশি আমাদের সামলাতে হতো।
অর্থাৎ আমার শিক্ষায় রয়েছে নারী এবং পুরুষের কাজ আলাদা নয়, সংসার উভয়ের তাই দায়িত্ব পালনের দায়ভার উভয়ের সমান।
সংসার একটি গাড়ি, যার সব চাকায় যদি হওয়া ঠিক না থাকে তাহলে যেমন গাড়ি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে, পরিবারের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।
শৈশব থেকেই নিজেদের কাজ নিজেদের করার অভ্যেস আমাদের শেখানো হয়েছিল। বিশেষ করে মা চলে যাবার পর!
আর এখন তো এখানে কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শিশুদের সেই আড়াই বছর বয়স থেকে এই একই শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়।
এর কারণ বৈষম্য দূর করা এবং দায়িত্ববোধের সংজ্ঞা শেখানো।
যাতে বড় হয়ে এই মানসিকতা তৈরি না হয়, পুরুষ জন্মেছে অর্থ উপার্জনের জন্য, আর নারী কেবলমাত্র রান্নার কাজের জন্য আর সন্তান প্রসবের জন্য এই ধরায় এসেছে!
অনেক বিত্তশালী মানুষের সংকীর্ণ মানসিকতা আজও পরিবর্তন হয়নি!
যাদের শৈশব থেকে এটা শেখানো হয়নি, দায়িত্বের নিরিখে উভয়ের ভূমিকা সমান। সেটা ঘরের রান্না, সন্তান লালন পালন, অথবা উপার্জন যেটাই হোক না কেনো এগিয়ে এসে সহযোগিতা করতে হবে সমানভাবে।


আপনার লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি ব্যালান্সড লাইফস্টাইলের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়া পরিবারের মধ্যে সমান দায়িত্বের ভাগাভাগি সম্পর্কে আপনার মতামত অত্যন্ত বাস্তব এবং প্রয়োজনীয় বিষয় আমি মনে করি।
আপনার অভিজ্ঞতা বা ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! আপনি যে সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বলেছেন, তা সত্যিই আমাদের জীবনে খুব প্রয়োজনীয়। এই ধরনের পোস্ট আমাদের জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্য করবে। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইল দিদি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ে নিজের অনুভূতি এবং অভিমত ভাগ করে নেবার জন্য।
আসলে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এমন কিছু কাজে সময় ব্যয় করি যেটি আসলেই সময় নষ্টের পর্যায় পরে!
জীবন থেকে একটি মুহূর্ত ফুরিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না, আর এই অযথা সময়ের অপচয় একটি সময় আফসোস ছাড়া কিছুই বয়ে আনে না!
@abdullahw2 thank you for your support