সহশ্রধারা ঝর্না-২ , সীতাকুণ্ড চট্টগ্রাম।
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৮ই জানুয়ারি, রবিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করেছিলাম কয়েকদিন আগে আমি ট্যুরে গিয়েছিলাম, সেখানকার কিছু ঘটনা আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
যাইহোক কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে টুর থেকে ফিরে আসার একটা অভিজ্ঞতা বেঁচে ফিরলাম 😁 শেয়ার করেছিলাম, ও যাত্রাপথের একটা পোস্ট চন্দ্রনাথ পাহাড়,সীতাকুণ্ড যাওয়া শেয়ার করেছিলাম সীতাকুণ্ড, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে একদিন, সেটিও পোস্ট করা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সহশ্রধারা ঝর্না যাওয়ার সেই অনুভূতি গুলো।
সীতাকুণ্ড, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে একদিন ওই পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়ের আরেকটা পোস্ট আমি করব সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে, সেটি আর করা হয়ে ওঠেনি। যাইহোক সেখানকার পরিবেশ যে ছবিগুলো আমি তুলেছিলাম সেগুলো ফটোগ্রাফি পোস্ট হিসেবে আরেকদিন আপনাদেরকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে আমরা আবার রওনা দিয়েছিলাম সহস্রধারা-২ ঝরনা টি দেখার জন্য, সেখানে গিয়ে আরো কিছু অভিজ্ঞতা হলো সেগুলো একটু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
চমৎকার সুন্দর একটা জায়গা সিঁড়িটা দীঘির মধ্যে নেমে গেছে জানিনা এটাকে কি বলে কিনা, যাইহোক আমরা সবাই আমাদের টিকিট দেখালাম এবং সেখানে একটা নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে সেই নৌকায় করে আমাদেরকে ওইপারে নিয়ে যাবে যেখানে ঝর্ণা বইছে।
পূর্বের পোস্ট গুলো যারা দেখেছেন তারা অনেকেই এই ভাইটাকে চিনবেন, তার অঙ্গভঙ্গি এগুলো সব সময় মজাদার হয়ে থাকে আমরা খুবই বিনোদন পেয়েছি তার কাছ থেকে, এত সুন্দর একটা পরিবেশ আমরা সবাই ফটোগ্রাফি করছিলাম।
যদিও কথা ছিল আমি পানির কাছে যাব না, তবে এই ঝরনা দেখতে হলে আমাকে নৌকায় উঠতে হবে। যাইহোক কোনরকমে নৌকার মধ্যে চড়ে বসলাম।
কয়েক সেকেন্ড ভয় লাগলে তারপর কিন্তু বেশি ইনজয় করেছিলাম নৌকা ভ্রমণটা, খুবই সুন্দর একটা পরিবেশ তবে শেষের ছবিটা দেখি আপনার বুঝতে পারবেন পানির পরিমাণ টা অনেকটাই কম।
এরকম পরিবেশ দেখে আমরা কিছুটা হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম, এখানে যদি ঝর্ণা থাকতো তাহলে এরকম পরিবেশ হওয়ার কথা না, ঠিক তাই আমরা হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছি এখানে পানির কোন অস্তিত্ব নেই। আমরা ভাবছি শেষ পর্যন্ত গেলে পানি দেখা পাব, সেই আসাতে আমরা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি।
কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে গেলাম, টাকা দিয়ে টিকিট কাটলাম এতগুলো মানুষ কে বলা হল এখানে ঝড় রয়েছে, কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম এখানে কোন ধরনের অস্তিত্বই নেই ঝর্ণার পানি এখানে শুকিয়ে গেছে, মনে কষ্ট নিয়ে আমরা আবার পূর্বের জায়গায় ফেরত আসলাম।
এখানটায় আমরা বেশ কিছু সময় গান করলাম আর আড্ডা দিলাম, যারা গোসল করতে চেয়েছিল তারা এখানে গোসল করলো। হঠাৎ দেখলাম ৪০ জনের একটা গ্রুপ উপরে আসছে, তারা আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করল ঝরনা টি দেখতে কেমন? আমরা বললাম ভাই পুরোটাই মিথ্যা কথা এখানে কোন ধরনের ঝরনা নেই আপনার ঘুরে আসতে পারেন ঝরনার পানি শুকিয়ে গেছে, এটা শুনে তো সেখানে বেশ বড়সড় একটা ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে গেল।
তারা প্রত্যেকে টিকেটের টাকা ফেরত চাইল, ওইখানকার স্থানীয়রা চেয়েছিল আমার সাথে ঝামেলা করতে কিন্তু তারা আমাদের সাথে পেরে উঠেনি আমরা সহিসালামতে ফেরত আসলাম।
এখানে আসার আগে আমরা একটা হোটেলে আমাদের সব জিনিসপত্র রেখে এসেছিলাম, আমরা সেই হোটেলে গেলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য, সেখানে মুরগির মাংস এবং সামুদ্রিক মাছের ব্যবস্থা ছিল, চাচ্ছিলামনা মাছ খেতে তাই আমরা কয়েকজন মুরগির মাংস অর্ডার করলাম। তারপর দেখলাম মাছটাই সবথেকে বেশি মজার হয়েছিল। একটু টেস্ট করে দেখলাম 😁😁
পোস্ট এর ধরন | ট্রাভেলিং |
---|---|
ডিভাইস | Xiaomi Redmi Note 10 Pro Max |
লোকেশন | https://w3w.co/hurdling.takeout.refuges |
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার আগের পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছিল। আপনার ঘুরাঘুরির এই পোস্ট পড়ে আর সাথে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার দৃশ্য দেখে কক্সবাজারের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ।
যদি ও এটা কক্সবাজার না তবে অবশ্যই সমুদ্রের কিছু ফটোগ্রাফি আপনারা পাবেন কারণ সেখানেও গিয়েছিলাম ঘুরতে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য,আপনাদের উৎসাহের কারণেই কিন্তু চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু উপহার দেওয়ার।
সীতাকুন্ডে যাওয়ার আদর্শ সময় বর্ষাকাল।তখন গেলে ঝর্ণার আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।শীতকালে পানি শুকিয়ে যায়,ফলে ঝর্ণার আসল রূপ দেখা যায়না।তবে অন্যান্য প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো থাকে চমৎকার। ছবি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
জি ঠিক বলেছেন ঝরনা দেখতে হলে বর্ষাকালে আসতে হবে, তবে বর্ষাকালে পাহাড়ে ওঠা একটু কষ্টকর হয়ে যায় আমরা সব কিছুর কম্বিনেশন চেয়েছিলাম তাই হয়তো এই সময় গিয়েছি ।