কক্সবাজারে শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। কিছু বিষয়ে পোস্ট লেখা একটু লেট করলে পরবর্তীতে সহজে লেখাই হয় না আর। আপনারা জানেন কক্সবাজার আর বান্দরবান ট্যুর শেষ করেছি বেশ কয়েকদিন আগে। কক্সবাজার থেকে আমাদের কমিউনিটির সুপরিচিত একজন আপুর সাথে দেখা হয়েছিল। যারা আঞ্চলিক ভাষার কথা এবং গান দুটোই আমার খুবই পছন্দের। কক্সবাজার গিয়ে সেই আপুর সাথেই দেখা হয়েছে এবার। তিনি হলেন আমাদের সকলের পরিচিত, কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড মেম্বার শামসুন্নাহার (@samhunnahar) আপু।
দিনটি ছিল জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ। যেদিন কক্সবাজার প্রবেশ করেছিলাম সেদিনই আপুর সাথে কথা হয়েছিল। আমাদের কথা হয়েছিল যে এবার একসাথে দেখা হচ্ছে। ২২ তারিখ আপু বিকেলবেলা ফ্রী ছিলেন। আমরাও সমুদ্র সৈকতের পাড়ে নির্মল বাতাসের অভিমুখে দাঁড়িয়ে সৈকতের বিশালতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছিলাম। বিকেলের পড়ন্ত সূর্য, সমুদ্রের গর্জন, নীল জলরাশি আর বীচের পাশে ঝাউ বাগান।
আপুর সাথে আমার ফোনে কন্টাক হচ্ছিল। উনি এসেছিলেন উনার দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে। ওদের ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই ওদেরকে নিয়ে বীচে চলে এসেছিলেন। দূর থেকে যখন দেখলাম তখনই বুঝতে পেরেছিলাম ওটাই শামসুন্নাহার আপু। আপু আমাকে তখনো দেখে চিনতে পেরেছে কিনা জানিনা তবে যখন কাছে গেলাম ফোনে কথা বলতে বলতে তখন তো অবশ্যই ধরতে পেরেছেন। এরপর দেখা হলো, অনেক অনেক কথা বিনিময় হলো৷ এরপর সবাই বসলাম ২ টি লেইং চেয়ারে। গল্পে গল্পে অনেকটা সময়ই পার হয়ে গেল।
আমি যদিও শুটকি মাছ খাই না তারপরও এবার বাড়িতে কিছু শুটকি মাছ কিনে নিয়ে যাব ভেবেছিলাম। শামসুন্নাহার আপুর সাথে যেহেতু দেখা হয়েই গেল আর বাঁধা কিসের৷ উনি তো অবশ্যই বেটার টা চিনবে। উনাকে নিয়েই চলে গেলাম মার্কেটে। উনার পরিচিত একটা দোকানে গিয়ে খুব দেখেশুনে কিনে দিলেন অনেকগুলো শুটকি মাছ। সে গল্প অন্য একটা পর্বে শেয়ার করব।
শুটকি মাছ কেনা শেষ করে আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। রেস্টুরেন্টের পজিশনটা অমায়িক সুন্দর ছিল। সম্পূর্ণ সি বীচ টা দেখা যাচ্ছে বসে। আমরা একটু বাইরেই বসেছিলাম যেন ভিউ টা আরো সুন্দর দেখতে পাই। সবাই হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। খাওয়া শেষ করে সবাই এক কাপ করে কফি ও খেলাম। মোমেন্ট টা খুবই সুন্দর ছিলো। শামসুন্নাহার আপু ছিল আসলে খুবই মিশুক। উনি সরল স্বভাবের কিন্তু বুদ্ধিমতী। উনার ২ টা মেয়ে যাদের কাছে আমি নতুন মামা হয়ে গেলাম সেদিন। ভাগ্নীদের চালচলন ছিলো অ্যডেরেবল। ছোট ভাগ্নী বেশি চঞ্চল। বড় টা একটু কথা কম বলে।
কফি এবং নাস্তা শেষ করে আমরা উঠে আসলাম আবারো সী বীচে। সেখানে সবাই একসাথে কয়েকটা গানও করেছি আমরা। চাঁদনী রাতের ওই মোমেন্টা অসাধারণ ছিলো। যেহেতু আপুদের আবার বাসায় যেতে হবে তাই বেশি রাত হলেও সমস্যা। এজন্য কিছুক্ষণ পরেই আমরা উঠে পড়লাম। আপুকে একটু এগিয়ে দিয়ে আসতেই আপু লজ্জায় ফেলে দিলো। আমরা ৮-৯ জন ছিলাম। প্রত্যেকের জন্যই অনেক গুলো আচার গিফট করলেন। তারপর আবার আমার ওয়াইফ এর জন্য কফি আর কয়েকরকমের আচার গিফট করলেন। উনি আমাকে একটু বেশিই লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন। অতঃপর ক্ষণিকের সুন্দর মুহুর্ত শেষে বিদায় ঘন্টা।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাহ চমৎকার একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপনি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। সত্যি সেই দিনের মুহূর্তটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল আমি যেন নয়জন ভাই পেয়েছিলাম। যদিও সময় হাতে খুবই কম ছিল কিন্তু সেই অল্প সময়ের মধ্যে সবার সাথে বেশ ভালো আড্ডা হয়েছিল এবং সবার সাথে কথা বলে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। আমার মেয়েরা তো এখনো আপনাদের কথাই বলতেই আছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনি মুহূর্তটি লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
মনে থাকবে সময়টা।
ইনশাআল্লাহ আবার দেখা হবে কোন এক দিন।
আসলেই আমার বাংলা ব্লগ টা অনলাইন প্লাটফর্ম হলেও তা আমাদের জন্য বিশাল একটা পরিবার। এখানে সবাই সবার সাথে ভীষণ মধুর একটা সম্পর্কে বাঁধা। শামসুন্নাহার আপুর পোষ্ট এবং আরো একজনের পোস্ট দেখেছিলাম এটা নিয়ে। আজ আবারো আপনার পোষ্ট টি পড়লাম। এমন বন্ডিং দেখতে ভীষণ ই ভালো লাগে! এখানেই বুঝি " আমার বাংলা ব্লগ" এর আলাদা মাহাত্ম্য কিংবা স্বার্থকতা 😍😍।
আপনিও চলেন আবার যাই। আচার পাবেন অনেক গুলো 🥳🥳
ইস্ ভাইয়া আমিও যদি আপনাদের সাথে থাকতাম তাহলে তো আমিও আচার পেতাম। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সবার একত্রতা দেখে। আসলে এখানে আমরা সবাই একটি পরিবার। আর এমন একটি পরিবারের কারও সাথে যদি হঠাৎ দেখা হয়ে যায় তাহলে তো আর কথায় নেই। ধন্যবাদ আপু কে আপনাদের কে এমন আপায়ন করায়।
ঠিক বলেছেন আপু৷ আপনিও উপহার পেয়ে যেতেন।
কক্সবাজার গিয়ে শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা হয়েছিল, সেটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক আগেই জানতে পেরেছিলাম। যাইহোক শামসুন্নাহার আপু এবং উনার মেয়েদের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। কক্সবাজার থেকে শুঁটকি কিনে আমি বেশ কয়েকবার ঠকেছিলাম। তাই এবার আর সেখান থেকে শুঁটকি নেইনি। শামসুন্নাহার আপুকে দিয়ে শুঁটকি কিনিয়েছেন যেহেতু, তাহলে শুঁটকি গুলো নিশ্চয়ই খুব ভালো হয়েছিল। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পরেরবার গেলে তাহলে শামসুন্নাহার আপুর সাথে যোগাযোগ করবেন আর বুদ্ধিটা যেহেতু আমি দিলাম তাই আমার জন্য এক কেজি পাঠিয়ে দেবেন। 😜
আমাদের দেখা করার কথা ছিলো, কিন্তু আপু রোজা রেখেছিল বলে শরীরটা খারাপ লেগেছিল তাই আসতে পারেনি। কিন্তু আমাদেরকে উনার বাসায় যেতে বলেছিলো,কিন্তু আমরাও ঘুরাঘুরি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম বলে বাসায় যাওয়া হয়নি। ঠিক আছে ভাই এক কেজি না ২ কেজি শুঁটকি পাঠিয়ে দিবো😂।
শামসুন্নাহার আপুর গান এবং ভাষা দুটোই আমার কাছে দারুণ লাগে।আর আপনি আপুর সঙ্গে দেখা করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।আপনি শুঁটকি খান না দাদা এটা জেনে ভালো লাগলো, কারন এর গন্ধ আমিও নিতে পারি না।আপনারা কেনাকাটা, খাওয়া দাওয়া ও গান-গল্পে দারুন সময় পার করেছেন দেখছি।আচারের কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে, এভাবেই গড়ে উঠুক সুন্দর সম্পর্কগুলি।ধন্যবাদ দাদা।
আসলেই শামসুন্নাহার আপু একজন অমায়িক মানুষ। যেমনটা আপনি। সত্যি বলতে আমাদের কমিউনিটির প্রত্যেকটা মানুষ সব দিক থেকে অমায়িক স্বভাবের। যেন সবাই মিলে একটা সুশীল পরিবার। শামসুন্নাহার আপুর সাথে কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি বর্ণনা করেছেন ভাইয়া। তবে আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোর মধ্যে আমরা আপুর সাথে করা গান এবং শুটকি কেনার মুহূর্তগুলো দেখতে পারবো।