জেনারেল রাইটিং:)- পুরুষ বাঁচে অন্যের জন্য।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
![]() |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো #amarbanglablog পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। বেশ গরম ছিলো তবে দুইদিন থেকে বৃষ্টি হলো আমাদের এদিকে এখন আবহাওয়া মোটামুটি বেশ ভালো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি ভিন্ন রকম একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
জেনারেল রাইটিং:)- পুরুষ বাঁচে অন্যের জন্য। আশাকরি টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন কি বিষয়ে লিখতে চলেছি। আজকে আমি আমার মতো করে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। পুরুষ নামটি হচ্ছে বড়ই অদ্ভুত। যে মানুষটি সব কিছু মেনে নিতে পারে খুব সহজেই। সেই ছোট বেলা থেকে বাবা মার স্বপ্ন থাকে যে আমার ছেলে বড় হয়ে ভালো কিছু করবে। সেই থেকেই মূলত একজন পুরুষের জীবনের গল্প শুরু হতে থাকে। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। তার পরে সব কিছু বুঝতে শিখে এবং বড় হয়। এর পরে বাবা মার স্বপ্ন পুরুন করার চেষ্টা করতে থাকে। এর পরে এক সময়ে যদিও বাবা মার স্বপ্ন পুরন হয়।
তার পরে শুরু হয়ে যায় জীবনের দ্বিতীয় ধাপ। বয়স তো অনেক হলো এবার তো জীবন সঙ্গী খুঁজতে হবে। চাইলে তো ভালো জীবন সঙ্গী খুঁজে পাওয়া যায় না। যদিও ভালো একটা জীবন সঙ্গী খুঁজে পাওয়া যায়। তার পরে তাকে পেতে হলে আবার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এবার শুরু হয়ে যায় পুরুষ নামক মানুষটির জীবনের দ্বিতীয় যুদ্ধ। এর পরে অনেক চেষ্টার পরেও কেউ এখানে এসে সফল হয় এবং কেউ হতে পারে না।
এবার যদিও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো। অল্প কিছুদিন বেশ ভালো সব কিছু চলতে থাকলো। এর পরে তো জীবনের সব চেয়ে বড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। কারন হচ্ছে পুরুষ বিয়ে করলেই যেনো পরিবারে বিভিন্ন ধরণের ঝামেলা রয়েছে। ঝামেলা গুলো কাটিয়ে উঠতে উঠতে এদিকে পরিবারে নতুন অতিথি চলে আসে। এর পরে তো সংসারের সব দিক দিয়ে খরচ বেড়ে যায়। এর পরে স্ত্রী সন্তানদের খাবার জোগাড় করার জন্য পুরুষের জীবনের তৃতীয় যুদ্ধ করতে হয়। সব কিছুই হাঁসি মুখে মেনে নেওয়ার নামেই পুরুষ।
এভাবে চলতে চলতে এক সময় ছেলে মেয়ে বড় হয়ে যায়। এবার তাদের পড়ালেখা থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত বেশ ভালোই ঝামেলা পোহাতে হয়। এর পরে এভাবে চলতে চলতে পুরুষ নামক ব্যাক্তির কখন যে বয়স বেড়ে যায় সেদিকে আর খেয়াল থাকে না। যখন একটু নিজের মতো করে বাঁচতে চায় তখন তার হাতে আর একদমই সময় থাকে না। পুরুষ তার পরিবার কে ভালো রাখার জন্য সব সময়ই কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। যাতে করে তার পরিবারের সবাই হাঁসি মাখা মুখে থাকতে পারে। আসলে পুরুষ বাঁচে অন্যের জন্য কবি একদমই ঠিক কথা বলেছেন। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল পুরুষ এই কামনাই করি। পৃথিবীর সকল পুরুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো ❣️
আমি আমার মতো করে লেখার চেষ্টা করেছি। কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চেষ্টা করতেছি জেনারেল রাইটিং গুলো লেখার। আমার লেখা যদি আপনাদের সবার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি। আল্লাহ হাফেজ
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | পুরুষ বাঁচে অন্যের জন্য। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @limon88 |
![]() |
---|
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
আসলে ঠিক বলেছেন ভাইয়া, পুরুষেরা কিন্তু অনেক বেশি কষ্ট করে। তারা সব সময় তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে পরিশ্রম করে। কিন্তু অনেকেই আছে পুরুষদের এই পরিশ্রমটা বোঝে না। প্রথমত মা-বাবা, স্ত্রী , সন্তান সবার কথা চিন্তা করতে করতে তাদের জীবনটা আস্তে আস্তে চলে যায়। তবে আমি মনে করি এই সবকিছুর মধ্য দিয়েও যদি পরিবার পাশে থাকে তাহলে পুরুষেরও ভালো থাকা সম্ভব। আপনার লেখাটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1792724181198798972?t=No--U4l37dsFpZzqFfKMwg&s=19
আসলে ভাই পুরুষ কখনোই নিজের জন্য বাঁচে না। সে বাসে পরিবারের জন্য, পরিবারের হাসি ফোটাতে যেন তার জীবনটা চলে যায়। আবার বিয়ের পরে যেন নতুন এক চিন্তা ভাবনা থাকে, তারপরে আসে নতুন অতিথি। এভাবে যেন তার জীবনটা চলতে থাকে। সে কখনোই নিজের জন্য বাঁচে না, কখন বাবা-মা কখন বউ, কখন সন্তানের জন্যই জীবন পার করে দেয়।
একদমই ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
পুরুষ মানুষের জীবন সংগ্রাম অনেক কঠিন। জীবনের অর্থ ধাপে ধাপে উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরলেন । এটাই একটি পুরুষের জীবনের অংশ । যেটা সবাই পূরণ করার লক্ষ্য এগিয়ে যায়। হয়তো কখনো ব্যর্থ হয় তখনই জীবন অসুন্দর হয়ে যায়। আবার যখন সফল হয় তখন সবাই অনেক সুন্দর হয় ।ভালো লাগলো আপনার আজকের শিক্ষামূলক পোস্ট পড়ে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনি চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি একজন পুরুষের জীবন যুদ্ধ তুলে ধরেছেন। সত্যি বলতে আমরা যারা পুরুষ তাদের জন্ম গ্রহণ করা থেকে শিক্ষা, বিয়ে, ও সংসার নিয়ে এক ধরনের যুদ্ধ ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাই পুরুষ বাঁচে অন্যের জন্য। আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনার আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি দেখছি, পুরুষ মানুষের পুরো জীবনী তুলে ধরেছেন! তবে আপনার প্রত্যেকটা কথাই সত্যি। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত পুরুষ মানুষের শুধু পরিশ্রম করে যেতে হয় এবং শেষ বয়সে এসে সে বুঝতে পারে যে, আসলে সে নিজের জন্য কিছুই করতে পারেনি। সবকিছুই পরিবার, সংসার, ছেলে-মেয়ের জন্য করে গেছে। সত্যিই অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি আজকে পুরুষ মানুষদের নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছেন। আপনি ঠিক বলেছেন সব ধরনের পরিস্থিতিকে মানিয়ে হাসি খুশি থাকার নামই পুরুষ। তাছাড়া পুরুষ তার পরিবারকে হাসি খুশি রাখার জন্য সব দুঃখ কষ্ট হাসি মুখে মেনে নেয়। আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে পুরুষের কষ্ট কেউ উপলব্ধি করে না। সবাই মনে করে কষ্ট করা পুরুষের দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুরুষের জীবনের অন্তিম সময় কখন যে চলে আসে বোঝা যায় না।
যাইহোক বেশ গুছিয়ে পোস্টটি উপস্থাপন করেছো ধন্যবাদ তোমাকে।
এধরনের পোস্টগুলো আরো লিখতে হবে, তবে অবশ্যই আরো গভীরে চিন্তা করতে হবে 👍
দোয়া করবেন আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
মাঝেমধ্যে গভীরভাবে ভাবলে মনে হয় যে পুরুষ মানুষের জীবনটা আসলেই একেবারে অদ্ভুত। কারণ একজন পুরুষ মানুষ পরিবারের সবার চাহিদা পূরণ করতে করতে জীবনটা পার করে দেয়। কিন্তু দিনশেষে অনেক পুরুষ মানুষ পরিবারের সদস্যদের সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে না। তখন নিজেকে অবশ্যই ব্যর্থ মনে হওয়ারই কথা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।