লাইফ স্টাইল // পুরনো দিনের স্মৃতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০২-০২-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি পুরনো দিনের স্মৃতি। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠো বেশি কিছু সময় বসে ছিলাম। আপনারা সকলেই জানেন বেশ কিছুদিন আগে আমি বাংলাদেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পাড়ি দিয়েছি। আসলে জীবন জীবিকা নির্ভর এর জন্য মানুষ কত কিনা করে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বাড়ির জন্য বেশ মন খারাপ হয়েছিল তাই মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে পুরনো দিনের ছবিগুলো একটু দেখতে ছিলাম। তখনই হঠাৎ ভেসে আসলো পুরনো দিনের কিছু স্মৃতিময় ছবি। তারপরে ঘুম থেকে ওঠার পরে হাত মুখ ধুয়ে হালকায় একটু নাস্তা খাওয়া শেষ করে আবারও রুমে চলে আসলাম। মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া শেষ করে মোবাইল ফোন হাতে নিয়েই পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। আসলে এখানে আমরা প্রায় এক রুমের মধ্যে ১৪ জন মানুষ রয়েছি প্রত্যেকে যদি অল্প অল্প করে কথা বলে বেশি গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি হয় তাই পোস্ট লিখতে আমার জন্য বেশ অসুবিধা মনে হয়। এর মাঝেও চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত পোস্ট লেখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক........
প্রথমে আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকার ভাবে আমার মোবাইল ফোনে দুইটি ছবি ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা সকলেই জানেন বেশ কিছুদিন আগে রকি ভাই সহ রকি ভাইয়ের পরিবার নিয়ে আমাদের এলাকায় ঘুরতে এসেছিল। সত্যি রকি ভাই এবং তার পরিবার আশাতে আমরা সকলেই বেশ আনন্দিত ছিলাম। আমাদের এলাকায় আমরা প্রায় তিন চার দিন ঘুরার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা কুষ্টিয়া শহরে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি দেখতে যাব। তাই সেই দিন রাতে আমি এবং মোস্তাফিজুর মামা দুজন মিলে একটি মাইক্রো গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। তারপরের দিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে আমরা সকলেই ঘুরতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে পড়েছিলাম। আমরা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম সকাল ৯ টার দিকে। সেখানে গিয়ে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পরে আমরা যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠি বাড়িতে প্রবেশ করব তার গেটের সামনেই সোনিয়া আপু এবং মেয়ে নাসিয়ার দারুন ছবি আমি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। তারপরের টিকিট কাউন্টারের মধ্যে প্রবেশ করার পরে রকি ভাই আমাদের সকলের টিকিট কেটে দিয়েছিল আমি হাতে ধরে বেশ দারুন ভাবে একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকারভাবে আবারো আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছি। আমরা যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। রাস্তার মাঝে নাসিয়া দারুন স্টাইলে দাঁড়িয়ে ছিল তখনই আমি আমার মোবাইলে ক্যামেরা দিয়ে বেশি দারুন ভাবে ছবি তুলেছিলাম। ঘুরতে যাওয়ার আগের দিন কাজী রায়হান ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছিল ভাই আমাদের সকলের সাথে দেখা করতে চেয়েছিল। আমরা সেখানে পৌঁছানোর আগে কাজী রায়হান ভাইয়ের সাথে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করেছিলাম ভাই বলেছিল তোমরা পৌঁছানোর পর পরে আমি চলে আসবো। আমরা সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর কিছু সময় পরেই দেখি কাজী রায়হান ভাই সেখানে চলে এসেছে। সত্যি তখন আমরা সকলে মিলে দাঁড়িয়ে বেশ দারুন ভাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম এবং আড্ডা এবং খোশগল্পে মেতে উঠেছিলাম। এমনিতে আমি ঘুরে বেড়াতে বেশ পছন্দ করি। তবে বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য যদি একসাথে ঘোরাঘুরি করা যায় তাহলে আনন্দে আত্মহারা। আসলে আমি মনে করি প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে ঘুরে বেড়ানো এবং আনন্দ উপভোগ করা প্রয়োজন।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো চমৎকারভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে দুইটি ছবি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আমরা যখন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করব তখন ঠিক দুপুর বেলা যোহরের আজান শেষ হয়েছিল। সেখানে সিকিউরিটি গার্ড আমাদেরকে বলেছিল নামাজ শেষ হওয়ার পরে ভিতরে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে আবার। তাই আমরা সেখানে পুকুরপাড়ের চারিপাশ ঘুরে দেখেছিলাম এবং বেশ আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। তখনই দেখতে পাই সেখানে বেশ কিছু সাদা পাতি হাঁস পানির মধ্যে ছিল নাসিয়ার হাতে তখন চিপস ছিল নাসিয়া চিপস হাঁস গুলোকে খাওয়াচ্ছিল দেখে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তখনই আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম ছবিগুলো। আসলে নাসিয়ার সাথে কয়েক দিন আনন্দ এবং খুন ছুটিতে বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম আমার সময় গুলো কথা মনে আসলে সত্যি বেশ ভালো লাগে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে আমরা বাংলা ব্লগের যে সকল সদস্য মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম তাদের নাম আমি নিচে মেনশন করছি। @narocky71 @tasonya @kazi-raihan @mostafezur001 আমরা সকলে মিলে সেখানে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আসলে এভাবে যদি বাংলা ব্লগের কিছু সদস্য একসাথে ঘুরে বেড়ানো যায় সত্যি সকলের কাছে বেশ ভালো লাগে। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনাদের সবার সাথে অনেক ভালো ভাবেই ঘুরাঘুরি করেছিলাম। আর আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছিল। ওই সময় গুলোর কথা মনে পড়লে আমার কাছে এখনো পর্যন্ত অনেক ভালো লাগে। স্মৃতির পাতায় মুহূর্তগুলো সারা জীবন থেকে যাবে। এই মুহূর্তটা আপনি অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু জীবনে কিছু কিছু মুহূর্ত আছে জীবনে কখনোই ভোলার নয় সেগুলো সব সময় স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে।
https://x.com/kibreay001/status/1885908200647725438?t=-KpRz3xRX3531TjRdvy-Kw&s=19
সময়টা সুন্দর ছিল আপনাদের সবার সাথে দেখা হয়েছিল বেশ ভালো লেগেছিল। তবে ভাই একটু খারাপ লেগেছিল আমি আপনাদেরকে খুব বেশি সময় দিতে পারিনি। যাইহোক পুরনো স্মৃতি আবার মনে করিয়ে দিলেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন এটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল ভাই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মাঝে মাঝে মোবাইলের অ্যালবামে পুরনো ছবিগুলো দেখলে অনেক স্মৃতি মনের মধ্যে ভেসে ওঠে। কিছুদিন আগে আপনারা সোনিয়া আপু ও রকি ভাইয়ার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এখানে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আমি শুনেছি। আজকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিছুটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত তুলে ধরার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কুষ্টিয়ার রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি স্মরণ করিয়ে দেয় অনেক স্মৃতি কথা। কবি এখানে বসে অনেক কিছু লিখেছেন। তার সুন্দর এ বাড়িটা আজ রয়ে গেছে আমাদের দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ ছুটে আসেন কিছুটা সময় সেখানে অবস্থান করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী স্মরণ করার জন্য। এখনো অনেক সুন্দর ভাবে গোছানো থাকে স্থানটা। আপনারা বেশ অনেকদিন ব্লগার এখানে উপস্থিত হয়েছেন দেখলাম। ভালো লাগলো আপনাদের সবাইকে একত্রে সুন্দর এই স্থানে উপস্থিত হতে দেখে। রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির সৌন্দর্য গেট থেকে সোজা নারিকেল গাছগুলো। অনেক ভালো লাগলো দেখে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো কখনোই ভুলার মত নয়। আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে তো আমার আবারো মনে পড়ে গেল সুন্দর সেই কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা। সবার সাথে এত সুন্দর সময় কাটাতে পেরে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। মুহূর্তগুলোর কথা এখনো মনে পড়লে অনেক আনন্দ লাগে। ইনশাআল্লাহ আবারও কোন এক সময় একসাথে হবো সবাই।
সত্যি ভাই আপনাদের সাথে সেই সময়ের সুন্দর মুহূর্ত গুলো কাটাতে পেরে আমিও বেশ আনন্দিত ছিলাম।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ভ্রমণের স্মৃতিগুলো আসলেই বিশেষ। পুরনো ছবিগুলো দেখে যেন সময় থেমে যায়। সোনিয়া আপু ও রকি ভাইয়ার সাথে ঘুরে আসা মুহূর্তগুলোর কথা শুনে মনে হচ্ছে, সেখানে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছিলাম সেখানে আমরা সকলে মিলে সুন্দর সময় কাটিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু ছবির মাধ্যমে বিনোদন উপহার দেওয়ার জন্য।
বাহ্! আমার বাংলা ব্লগের বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ একসাথে ঘুরতে গিয়েছেন দেখছি। সবাইকে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে গিয়ে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।