"সামুদ্রিক সোনালী ও মলা মাছের পকোড়া রেসিপি"
নমস্কার
সামুদ্রিক সোনালী ও মলা মাছের পকোড়া রেসিপি:
অনেকদিন পর একটি পকোড়া রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।আসলে বেশিরভাগ সময় তো বিভিন্ন সব্জির পকোড়া খাওয়া হয়।কিন্তু সবসময় সব্জির পকোড়া খাওয়ার প্রতি ইচ্ছেবোধ থাকে না। তাই মাঝে মাঝেই মাছের পকোড়া খেতে ভালোই লাগে।আমি এখানে সামুদ্রিক মলা মাছ ও ইয়া লম্বা এক সোনালী মাছ দিয়ে পকোড়া রেসিপি তৈরি করেছি।আসলে সোনালী মাছ কিনা ঠিকভাবে নাম জানি না,মলা মাছের ভিতরে ছিল তাই একজন নামটি বললো।যাইহোক মাছগুলোতে মাঝখানে একটি করে কাটা থাকে তাই পকোড়া করে খেতেও সুবিধা।যাইহোক এটা বেশ স্বাদের হয়েছিলো খেতে।যাইহোক আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.সোনালী মাছ- 5 পিচ
3.বেসন - 1 কাপ
4.লবণ- 1 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
6.লাল মরিচ গুঁড়া-1.5 টেবিল চামচ
7.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
8.গরম মসলা গুঁড়া-1/3 টেবিল চামচ
9.জিরে গুঁড়া-1 টেবিল চামচ
10.সাদা তেল-1/2 কাপ
11.জল
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি মাছগুলোর আশ ছাড়িয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিলুম।
ধাপঃ 2
এরপর পরিমাণ মতো বেসন নিয়ে নিলাম।তারপর বেসনের মধ্যে পরিমাণ মতো সমস্ত গুঁড়া মসলা দিয়ে দেব।
ধাপঃ 3
এখন বেসনের মধ্যে (লবণ, হলুদ, লাল মরিচ গুঁড়া, জিরে গুঁড়া ও গরম মসলা গুঁড়া) ইত্যাদি উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে অল্প অল্প জল যুক্ত করবো।
ধাপঃ 4
এবারে একটা গাড় ঘন বেটার তৈরি করে নেব।
ধাপঃ 5
এখন একটি করে মাছের পিচ বেটারের মধ্যে দিয়ে দেব।
ধাপঃ 6
এরপর একটি করে মাছের পিচ বেটারের মধ্যে ডুবিয়ে তুলে নেব।
ধাপঃ 7
অন্যদিকে একটি পরিষ্কার কড়াইতে সাদা তেল গরম করে নিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দেব বেটারে ডুবানো মাছের পিচটি।
ধাপঃ 8
এরপর নেড়েচেড়ে উল্টেপাল্টে ভেজে নেব মাছের পকোড়াটি লাল রঙের করে।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে ফ্রাই করা পকোড়াগুলো একটি পাত্রে তুলে নিলাম।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "সামুদ্রিক সোনালী ও মলা মাছের পকোড়া রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে এমনি কিংবা টমেটোর সস বা কাসুন্দি দিয়ে।আর খাওয়ার সময় ভিতরের কাঁটাটি খুব সহজেই গোটা বের করে ফেলে দেওয়া যায়, তাই এটি খুবই সুস্বাদু লাগে খেতে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
টাস্ক প্রুফ:
সোনালি মাছ কখনো দেখিনি। তবে মলা মাছ প্রায় সময় খাওয়া হয়। আমরা আলু দিয়ে চচ্চড়ি করে খাই। তবে এভাবে পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। জানিনা এটার টেস্ট কেমন হবে। তবে ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দিদি ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও এই প্রথম দেখলাম আপু সোনালী মাছ,ধন্যবাদ আপনাকে।
সামুদ্রিক মাছের দারুন সুন্দর পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি দেখেই তো লোভ লেগে গেল দিদি। মাছের এরকম পাকোড়া রেসিপি খাওয়া হয়নি বললেই চলে। ঠিক বলেছেন, এসব মাছের কাঁটা ছাড়ানো সুবিধা। একটি মাত্র কাটা থাকে সেজন্য আর সমস্যা হয় না। দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি। সম্পূর্ণ প্রসেস দেখে ভালো লাগলো।
এখন প্রসেসটা দেখে নিলেন,খুব সহজেই তৈরি করে খেতে পারবেন দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে
মাছের পাকোড়া কখনো এভাবে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আর সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। কারণ আমাদের এখানে সামুদ্রিক মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। তাই আপনার তৈরি সামুদ্রিক মাছের পাকোড়া রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজার হবে। ধন্যবাদ আপু সামুদ্রিক মাছের পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু,আপনাদের ওখানে সামুদ্রিক মাছ কম পাওয়া যায় কিন্তু আমাদের এখানে সবজায়গায় প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু সব সময় সবজি দিয়ে পাকোড়া তৈরি করা হয়। কিন্তু কখনো এভাবে মাছ দিয়ে পাকোড়া তৈরি করা হয় না। আপনি আজকে দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো সামুদ্রিক মাছের পাকোড়া দেখে। এটা আমার কাছে একদম নতুন রেসিপি। ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই আমার রেসিপি তৈরি করা সার্থক আপু, ধন্যবাদ আপনাকে।
সবজির পকোড়া অনেক খাওয়া হয়েছে, তবে মাছের পকোড়া খাওয়া হয়নি আমার। কিন্তু সামুদ্রিক মাছ খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি দারুণভাবে মাছের পকোড়া তৈরি করেছেন আপু। রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে পরেরবার মাছের পাকোড়া অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
বিকালে টিফিনের সময় যদি এমন সামুদ্রিক সোনালী ও মলা মাছের পকোড়া পাওয়া যায় তাহলে সন্ধ্যার টিফিনটা ভালো জমে যাবে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই মাছের পকোড়াটি তৈরি করেছেন।
একেবারেই দাদা,জলখাবার হিসেবে এটি খুবই ভালো জমবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
মজার মজার খাবার খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো একেবারে কম রয়েছে। আমার তো মনে হয় একটাও নেই। আমরা সবাই কিন্তু মজার মজার খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি। এ ধরনের রেসিপি গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে শুধু। তেমনি আপনার রেসিপিটা দেখে আমার অনেক লোভ লেগেছে।
ঠিক বলেছেন, মানুষ মাত্রই কোনো না কোনো খাবারের প্রতি আসক্ত।ধন্যবাদ ভাইয়া।
সামুদ্রিক মাছগুলো খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।বেশ দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এভাবে আসলে মলা মাছ দিয়ে চপ তৈরি করা যায় তা জানা ছিল না। আপনি খুব সুন্দর করে বিভিন্ন রকম মাছের সমন্বয়ে চপগুলো তৈরি করেছেন। আমার ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলতে।
মলা মাছ দিয়ে খুব সুন্দর চপ তৈরি করা যায়, এখন জেনে গেলেন অবশ্যই ট্রাই করবেন কেমন আপু!