আর্ট :- আমাদের সবার প্রিয় কাবাঘর এবং মসজিদ আর্ট।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সব সময় তো চেষ্টা করি সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক দেশে পেইন্টিং করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনারা সবাই জানেন আমি আর্ট করতে খুব পছন্দ করি। আজকে আর কোন প্রাকৃতিক দৃশ্যের আর্ট না করে আমাদের সবার বড় এবং সবারই পছন্দের কাবাঘর এবং মসজিদের আর্ট করলাম। এই ঘর গুলোকে কেউ না চাইলেও সবারই উপরে থাকে। কারণ আল্লাহ আমাদের সবারই উপরে। আমরা সবাই তার বান্দা। ছোট থেকেই সবারই স্বপ্ন থাকে এই জায়গাগুলোতে কখনো না কখনো যাবার।
ঠিক তেমনি আমার নিজেরও স্বপ্ন আছে আমাদের সবার প্রিয় আল্লাহর ঘর গুলোর মধ্যে চাওয়া। নিজের ছোট ছোট ইচ্ছে গুলোকে সবসময় পূরণ করি। কিন্তু এবার বড় স্বপ্ন আমি নিজেও দেখে যাচ্ছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে এই স্বপ্ন টাকেও একদিন পূরণ করতে পারি। আর আপনারা নিজেরাও চেষ্টা করবেন নিজেদের এই ইচ্ছে টাকে ধরে না রেখে পূরণ করার জন্য। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই চেষ্টা করলে এখনো ইচ্ছে টাকে পূরণ করতে পারে। যাইহোক আমি চেষ্টা করলাম আমার মন থেকে আজকে এই আর্টগুলো করার জন্য। তাই আপনাদের মাঝেও শেয়ার করলাম। আশা করি আমাদের সবারই প্রিয় কাবাঘর এবং মসজিদের আর্ট গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
আঁকার উপকরণ
✓ আঁকার খাতা
✓ পোস্টার রং
✓ রং করার তুলি
✓ পেন্সিল
✓ রাবার
✓ কাটার
✓ মার্কার
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি আঁকার খাতা নিলাম। তারপর খাতার মাঝখানের অংশে পেন্সিল এবং চিকন মার্কার কলম দিয়ে একটি কাবা ঘরের স্কেচ এঁকে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর কাবা ঘরের চারপাশে কিছু অংশ কালো রং কলম দিয়ে সুন্দর করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর কাবা ঘরের চারপাশের আরো কিছু অংশ হলুদ এবং কমলা কালার রং কলম দিয়ে সুন্দর করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর এল মসজিদের একটি স্কেচ পেন্সিল এবং মার্কার কলম দিয়ে সুন্দর করে ধীরে ধীরে এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর উপরের অংশে পেন্সিল দিয়ে এবং নিচের অংশে সবুজ রং কলম দিয়ে সুন্দর করে মসজিদ টাকে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর একই রকম ভাবে আরেকটি মসজিদের পেন্সিল এবং মার্কার কলম দিয়ে সুন্দর করে ধীরে ধীরে এঁকে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপর কয়েকটি রং কলম দিয়ে উপরে এবং চারপাশে সুন্দর করে মসজিদের কালারফুল রং করে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি কাবা ঘর এবং দুটি মসজিদের আর্ট করে নিয়ে নিলাম। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আপনার আজকের পোস্টটি সবকিছুর ঊর্ধ্বে। যা নিয়ে প্রশংসা করলে খুবই কম হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু কাবা ঘর এবং মসজিদের এত সুন্দর একটি আর্ট পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি নিজের প্রিয় মূল্যবান জিনিসগুলোর ও কখনো না কখনো মন থেকে কিছু করা উচিত তাই এই আর্ট করলাম
https://x.com/bdwomen2/status/1886401707778908391?t=TYl624EfJmRzMvblbI2cog&s=19
মুগ্ধ হলাম আপু আপনার চমৎকার এই কাবা ঘরের আর্ট করে দেখানো দেখে। আমরা চাইলে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে অনেক সুন্দর কিছু আর্ট করতে পারি। হতে পারে সেটা বিশেষ কোনো স্থান অথবা বিশেষ কোন জিনিসকে কেন্দ্র করে। ঠিক তেমনি আজকে ভিন্ন ভাবে আপনার পবিত্র কাবাঘরের খুব রওজা শরীফের আর্ট দেখে খুশি হলাম।
এই পবিত্র কাবা ঘর এবং মসজিদ আমি আঁকতে পেরেছি তাতেই অনেক ধন্য
সত্যিই আপনার আর্ট করার দক্ষতা এতোটাই ভালো যে প্রশংসা না করে পারি না। প্রতিনিয়ত সেটা করে থাকেন। আজকে মসজিদ এবং কাবাঘরের দারুন আর্ট করেছেন দেখতে দারুণ লাগছে। এই ধরনের কাজগুলো আপনাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত দেখতে পাই।
সত্যি বলতে এই আর্ট করার পরে আমার নিজের কাছেও কেন জানি মনে শান্তি লাগলো
আমাদের সবার প্রিয় কাবাঘর এবং মসজিদ এর চিত্র অঙ্কন করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার অংকন করা চিত্রগুলো দেখে সব সময়ই আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর চিত্র অংকন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের প্রিয় কাবাঘর এবং মসজিদ অংকন করে আমি নিজেও ধন্য
আমাদের সবার প্রিয় কাবাঘর এবং মসজিদের অনেক সুন্দর আর্ট করেছেন আপু। আপনার আর্ট এর প্রতিভা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার তৈরি করা আর্ট দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। যতই প্রশংসা করি না কেন তাও কম হয়ে যাবে। আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি স্টেপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করব পরবর্তীতে আরো এরকম সুন্দর কিছু আর্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আল্লাহ আপনার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করুক। আমারও ইচ্ছা আছে মা-বাবা এবং জীবনসঙ্গীনি সহ একেবারেই ওমরা করার ইনশাআল্লাহ। পবিত্র কাবাঘর, মদিনাতুল মনোয়ারা এবং মসজিদুল আকসার দারুন দৃশ্য এঁকেছেন। আপনার আজকের আর্ট গুলি দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম যে যতোই প্রশংসা করি না কেনো কম হয়ে যাবে। সর্বশেষ এটাই বলবো আল্লাহ আপনার মনের স্বপ্ন এবং আশা পরিপূর্ণ করুক।
আল্লাহতালা যেন আমাদের সবার স্বপ্নগুলো এভাবেই পূরণ করে
আমি অনেক খুশি হয়েছি আপনার কাবা ঘর ও মসজিদের আর্ট করা দেখে। অনেকে বিভিন্ন বিষয়ের সুন্দর সুন্দর আর্ট করে দেখায় কিন্তু এভাবে এমন আর্ট কাউকে করতে দেখি না। এটা কিন্তু অনেক ভালো লাগলো আমার। অসাধারণ হয়েছে।
আমার এই আর্ট করে আমি নিজেও অনেক খুশি হয়েছি আপুকে বলব আর
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আমাদের সবার প্রিয় কাবাঘর দুর্দান্ত এঁকেছেন আপনি। আমি তো প্রথমে ভেবেছি কোন ছবি কেটে মনে হয় আপনি কাগজের মাঝে বসিয়ে দিয়েছেন। পরবর্তীতে আপনার দক্ষতা দেখে তো আমি জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক ভালো একজন আর্টিস্ট হলে এমন সুন্দর আর্ট করতে পারে। এত সুন্দর কাবা ঘরের আর্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি একজন দক্ষ আর্টিস্ট।
ঠিক বলেছেন এরকম পছন্দের একটি জিনিস যখন নিজে হাতে আঁকি তখন কত ভালো লাগে বলে বোঝানো যায় না